আইন মেনেই আটক, চাইলে আদালতে চ্যালেঞ্জ করতে পারেন কাশ্মীরি নেতারা: দোভাল
অজিত দোভাল বলেন, জম্মু ও কাশ্মীরের বেশিরভাগ মানুষ এই ধারা বিলোপের পক্ষে। এনিয়ে কোনও সন্দেহ নেই
নিজস্ব প্রতিবেদন: কাশ্মীরের রাজনৈতিক নেতা কর্মীদের আটক নিয়ে এবার চ্যালেঞ্জে ছুড়ে দিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল।
আরও পড়ুন-শিখ তরুণীর পর এবার পাক পঞ্জাবে জোর করে ধর্মান্তরিত করা হল খ্রিষ্টান কিশোরীকে
শনিবার দোভাল বলেন, কাশ্মীরি নেতাদের আইন মোতাবেকই আটক করা হয়েছে। এনিয়ে কোনও আপত্তি থাকলে তাঁরা আদালতে তা চ্যালেঞ্জ করতে পারেন। কোনও নেতার বিরুদ্ধে কোনও ফৌজদারি অভিযোগ আনা হয়নি। গণতন্ত্রের পরিবেশে ফেরা না পর্যন্ত তারা আটকই থাকবেন। নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই তাদের আটক রাখা হয়েছে। এরা কোনও জামায়েত করলে তার সুযোগ নিতে পারত জঙ্গিরা।
কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে দোভাল বলেন, উপত্যকার ৯২.৫ শতাংশ জায়গায় কোনও বিধিনিষেধ নেই। জম্মু ও কাশ্মীরের ১৯৯টি থানার মধ্যে মাত্র ১০টি থানায় বিধিনিষেধ এখনও বলবত রয়েছে। একশো শতাংশ ল্যান্ডলাইন পরিষেবা সচল করা হয়েছে। উপত্যকায় সেনা অত্যাচার করছে বলে যে অভিযোগ উঠছে তার কোনও প্রশ্নই নেই। কারণ একমাত্র জঙ্গি মোকাবিলায় সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা উদ্ধার করার কাজ করছে আধাসেনা ও কাশ্মীর পুলিস।
আরও পড়ুন-কেষ্টপুরে পুলিসকর্মীর বাড়িতে 'রহস্যজনক' বিস্ফোরণে অগ্নিদগ্ধ স্ত্রী! কারণ ঘিরে ধন্দে গোয়েন্দারা
জম্মু ও কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা বিলোপ নিয়ে নিয়ে অজিত দোভাল বলেন, জম্মু ও কাশ্মীরের বেশিরভাগ মানুষ এই ধারা বিলোপের পক্ষে। এনিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। মানুষ এখনও কর্মসংস্থান ও আর্থিক উন্নতির স্বপ্ন দেখছেন। একমাত্র কিছু দুষ্কৃতী এর বিরোধিতা করছে। পাকিস্তানি জঙ্গিদের হাত থেকে কাশ্মীরিদের বাঁচানোর চেষ্টা করছি। এর জন্যই কিছু বিধিনিষেধ করা হয়েছে। এখানে অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করছে পাকিস্তান।