নিজস্ব প্রতিবেদন: কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর অনুরোধে ২৪ বছর পর আবার রাজ্যসভায় যেতে চলেছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবেগৌড়া। কর্ণাটক থেকেই রাজ্যসভায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তিনি। রাজ্যসভায় দ্বিতীয়বার পা রাখার প্রাক্কালে নস্টালজিক প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবেগৌড়া। কেন নস্টালজিক প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী?


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জানতে হলে ফিরে যেতে হবে প্রায় আড়াই দশক আগে। সালটা ১৯৯৬। দেশে প্রথম যুক্তফ্রন্ট সরকার গড়তে চলেছে। ধারেভারে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে সবার থেকে কয়েক কদম এগিয়ে তৎকালীন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু। তাঁর ব্যক্তিত্ব এবং রাজনৈতিক ক্ষুরধার বুদ্ধিকে সন্মান জানিয়ে যুক্তফ্রন্টের সব দল জ্যোতি বসুকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চাইল। কিন্তু বাধ সাধল তাঁর দল সিপি(আই)এম। দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর জ্যোতি বসুকে  প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসার সম্মতি দিল  না সিপি(আই)এম-এর কেন্দ্রীয় কমিটি।


পার্টির সম্মতি না পাওয়ার পর  সাংবাদিক সম্মেলনে জ্যোতি বসুকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আপনাদের মুখ কে?  সেখানে জ্যোতি বসুই এইচ ডি দেবেগৌড়ার নাম প্রস্তাব করেছিলেন। সেই নাম  সর্বসম্মতভাবে যুক্তফ্রন্টে গৃহীত হয়। অর্থাৎ জ্যোতি বসুর হাত ধরেই  ১৯৯৮ সালে প্রথমবার  রাজ্যসভার সাংসদ হয়ে সংসদে পা রেখেছিলেন দেবেগৌড়া। জ্যোতি বসুর জন্য দেবেগৌড়া   হয়েছিলেন দেশের একাদশতম প্রধানমন্ত্রী।


আরও পড়ুন- পরিচারিকা রশিদার জন্মদিনে আলিয়ার নাচ, গান গেয়ে কেক কাটলেন মহেশ ভাটও


এরপর বহুবার লোকসভা নির্বাচনে জিতে সাংসদ হয়েছেন। কিন্তু রাজ্যসভার সাংসদ হয়ে ২৪ বছর পর দ্বিতীয়বার সংসদে পা রাখতে চলেছেন দেবেগৌড়া। তাই সোনিয়া গান্ধীর থেকে রাজ্যসভার সাংসদ হওয়ার অনুরোধ আসার পর নস্টালজিক হয়ে পড়েন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। মঙ্গলবার মনোনয়নপত্র জমা দিলেন তিনি। কর্ণাটক থেকে রাজ্যসভায় যেতে ৪৪ বিধায়কের সমর্থন প্রয়োজন। সেখানে কংগ্রেসের বিধায়ক ৬৮ । তাই দ্বিতীয়বার রাজ্যসভার সাংসদ হওয়া দেবেগৌড়ার শুধু সময়ের অপেক্ষা।