নিজস্ব প্রতিবেদন: অনড়-বিজেপি শিবসেনা। মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনে অচলাবস্থা কাটল না। ইস্তফা দিয়েই শিবসেনাকে কড়া আক্রমণ শানালেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। পাল্টা, উদ্ধব ঠাকরের বক্তব্যে জোট ভেঙে দেওয়ার ইঙ্গিত। কংগ্রেস-এনসিপি-কে নিয়ে জোট সরকার গঠনের চেষ্টা শুরু করে দিয়েছে শিবসেনা। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শুক্রবার মধ্যরাতে চলতি বিধানসভার মেয়াদ শেষের মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে, রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিলেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। রাজভবন থেকে বেরিয়ে মহারাষ্ট্রের কেয়ারটেকার মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ, শিবসেনার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করায় শরিক দলের কড়া সমালোচনাও করেন। দেবেন্দ্রর দাবি, তাঁরা কখনও মুখ্যমন্ত্রী পদ ভাগাভাগি করা নিয়ে শিবসেনাকে কোনও প্রতিশ্রুতি দেননি।


শিবসেনাকে আড়াই বছর মুখ্যমন্ত্রীর পদ দেওয়া হবে, উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে আলোচনায় অমিত শাহ এমন কোনও আশ্বাস দেননি। অমিত-উদ্ধব বৈঠকের পুরো সময়ই তিনি ঘরে উপস্থিত ছিলেন বলেও দাবি করেন ফড়নবিশ। কিছুক্ষণের মধ্যেই মাতোশ্রীতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন উদ্ধব ঠাকরে। সাফ জানান, ফিফটি ফিফটি ফর্মুলা ছাড়া বিজেপির সঙ্গে আর কথাই বলবেন না তিনি।



আরও পড়ুন- মুডিজ রিপোর্টে বিপাকে মোদী, নোটবন্দির ৩ বছর পূর্তিতে ‘অচ্ছে দিন’ নিয়ে প্রশ্ন তুলল বিরোধীরা


উদ্ধবের মন্তব্য, দেবেন্দ্র ফড়নবিশ তাঁকে মিথ্যাবাদী বলছেন। তিনিও আর এই মিথ্যাবাদীদের সঙ্গে থাকতে পারছেন না। লোকসভা ভোটের আগে অমিত শাহ ও দেবেন্দ্র ফড়নবিশ তাঁর বাড়ি যান। উদ্ধবের দাবি, তখনই অমিত শাহ মুখ্যমন্ত্রী পদ ভাগাভাগির প্রস্তাবে সায় দেন। শিবসেনা বিকল্প সরকার গঠনের চেষ্টা করবে বলেও ইঙ্গিত দেন উদ্ধব। এরপর রাতেই, শরদ পওয়ারের বাড়ি যান সেনা নেতা সঞ্জয় রাউত ও প্রদেশ কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা। বিজেপি ঘোড়া কেনাবেচার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছে শিবসেনা ও কংগ্রেস। এদিনই কংগ্রেস বিধায়কদের জয়পুরে নিয়ে যাওয়া হয়। বান্দ্রার হোটেল থেকে শিবসেনা বিধায়কদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে উত্তর মুম্বইয়ের মাড আইল্যান্ডে।