নিজস্ব প্রতিবেদন- মোমবাতি জ্বলে না। তার বদলে জ্বলে শয়ে শয়ে সস্তার সিগারেট। সস্তা কথাটা উল্লেখ করতে হচ্ছে। কারণ আহমেদাবাদের দধীচি ঋষির আশ্রমে গুরুর পুজো দামি সিগারেট দিয়ে হবে না। এখানে যুগ যুগ ধরে ভক্তরা আসেন সস্তা সিগারেটের প্যাকেট হাতে। ভক্ত হেঁটে আসুন বা দামি গাড়িতে চেপে, তাঁকে আনতে হবে সস্তার সিগারেট। দামি সিগারেট গুরুর উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করার ক্ষমতা থাকলেও করা যাবে না। এটাই এই মন্দিরের পুরোদস্তুর নিয়ম। আর ভক্তরা বলেন, গুরু সস্তার সিগারেটেই খুশি। মনোবাঞ্ছা পূরণের আশা নিয়ে তাই বছরের পর বছর এই আশ্রমে ভক্তরা আসেন সস্তার সিগারেট আর গোলাপ হাতে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রতি বৃহস্পতিবার ভক্তদের ঢল নামে অঘোরী দাদার সমাধির সামনে। আহমেদাবাদে সবরমতী নদীর ধারে এই আশ্রম। এতদুর পর্যন্ত পড়ে নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন, আর পাঁচটা আশ্রমের সঙ্গে দধীচি ঋষি আশ্রমের তফাৎ অনেক। এখানে অঘোরী দাদার পুজো হয় সামান্য সিগারেট ও গোলাপ দিয়ে। এর বেশি কিছু লাগে না। তবে ভক্তরা চাইলে সিগারেট বা গোলাপের মধ্যে যে কোনো একটি নিয়েও আসতে পারেন। তাতেও কোনও দোষ নেই। তবে হ্যাঁ, কোনো দামি ব্র্যান্ডের সিগারেটের প্যাকেট আনা যাবে না। এই ব্যাপারে আশ্রমের ট্রাস্টি সব সময় কড়া নজর রাখে।


আরও পড়ুন-  'ওয়ার্ক ফ্রম পাহাড়' করতে চান? রইল বুকিংয়ের বিস্তারিত


লকডাউনে ভিড় কিছুটা কমেছিল বটে! তবে আশ্রমে ভক্তদের আসা বন্ধ হয়নি একেবারে। আশ্রমের ট্রাস্টির এক সেবক জানালেন, এই মন্দিরের একটাই নিয়ম, অঘোরী দাদাকে সস্তার সিগারেট দিয়ে পূজা করতে হবে। কোনো দামি ব্র্যান্ডের সিগারেটের প্যাকেট সমাধির সামনে দেওয়া যাবে না। আগে গাঁজা চরসের মতো  নেশাদ্রব্য দিয়ে পুজো হত। দিনের বেশিরভাগ সময় নেশায় বুঁদ হয়ে থাকেন অঘোরীরা। তবে এখন গাঁজা, চরস উৎসর্গ করায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।