শশীকলার ঘুষকাণ্ডের কথা প্রকাশ্যে এনে বদলি পুলিসকর্তা ডি রূপার
ওয়েব ডেস্ক: জেল দুর্নীতির পর্দাফাঁস করে বদলি পুলিসকর্তা। কর্নাটক জুড়ে বিতর্কের ঝড়। বেঙ্গালুরুর জেলে ঘুষ দিয়ে বিশেষ সুবিধা পাচ্ছেন শশীকলা। ঘুষকাণ্ডের কথা প্রকাশ্যে এনে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করেন DIG ডি রূপা। এবার তাঁকেই কারা বিভাগ সরিয়ে দেওয়া হল। রূপার বদলি ঘিরে নতুন করে বিতর্কে কর্নাটক সরকার।
জেলের অন্দরে দুর্নীতির রমরমা কারবার। ২ কোটি টাকা ঘুষ দিয়ে জেলেই ভিভিআইপি বন্দোবস্ত করে নিয়েছেন শশীকলা। তাঁর জন্য জেলে বিশেষ রান্নাঘর তৈরি হয়েছে। চিন্নাম্মা ছাড়াও বেঙ্গালুরুর জেলে বহাল তবিয়তে স্ট্যাম্প কেলেঙ্কারির পাণ্ডা আব্দুল করিম তেলগি। বিভাগিয় রিপোর্টে এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেন কর্নাটকের ডিআইজি কারা ডি রূপা। সেই অভিযোগের ধাক্কা সামাল দিতে গিয়ে আরও বড় বির্তকে জড়াল কর্নাটকের সিদ্ধারামাইয়া সরকার। খোদ অভিযোগকারী পুলিস অফিসারকেই বদলি করা হল।
ডি রূপাকে ডিআইজি (কারা) থেকে ডিআইজি(ট্রাফিক) পদে বদলি করা হয়েছে। রিপোর্টে জেল দুর্নীতির জন্য ডিজি (কারা) সত্যনারায়ণ রাওকে দায়ী করেছিলেন ডি রূপা। সত্যনারায়ণকে ডিজি (কারা) পদ থেকে সরানো হয়েছে। সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বেঙ্গালুরু সেন্ট্রাল জেলের সুপার কৃষ্ণ কুমারকেও। ডি রূপার অভিযোগের মিডিয়ায় আসার পর ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়া। একই সঙ্গে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে রূপার বিরুদ্ধে তদন্তের কথা বলেন তিনি। সেই তদন্তের মাঝেই বদলি রূপা। এর ফলে নতুন করে অস্বস্তিতে কর্নাটক সরকার।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সূত্রের খবর, ডি রূপা আবেদন করলে জেল কেলেঙ্কারির কেন্দ্রীয় তদন্ত হতে পারে। তবে বদলির নির্দেশ পেয়ে ডি রূপা আর মুখ খোলেননি। রূপা চুপ থাকলেও, বিতর্ক থামছে কই।