নিজস্ব প্রতিবেদন- দল ও পদ, একইসঙ্গে দুই-ই ছাড়লেন দীনেশ ত্রিবেদী (Dinesh Trivedi)। রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে আচমকাই ইস্তফা দিলেন তৃণমূল সাংসদ। তিনি তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়লেন বলেও খবর। এবার কি তবে তাঁরও রাজনৈতিক রং বদলের অপেক্ষা! তিনিও কি তবে এবার BJP-র পথে! দীনেশ ত্রিবেদি এদিন বলেছেন, ''দলে থেকে কাজ করতে পারছিলাম না। দমবন্ধ হয়ে আসছিল। আমার অন্তরাত্মার কথা শুনেছি। আর চুপ করে থাকা সম্ভব হচ্ছিল না আমার পক্ষে। তাই এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হলাম। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এদিন তিনি আরও বলেছেন, ''চারিদিকে রাজনৈতিক হিংসা মারাত্মকভাবে হচ্ছে। গণতন্ত্রে আঘাত হচ্ছে। মোদীজিও বারবার বলেছেন একই কথা। আমি কী করব বুঝতে পারছি না। কিছু তো করতেই পারছি না। চুপচাপ দেখা ছাড়া কোনও উপায় নেই আমার। রবীন্দ্রনাথ, নেতাজির মাটি আমার জন্মভূমি। এখানে থেকে কিছু বলতে বা করতে না পারলে সরে যাওয়া ভাল। তার থেকে বাংলার ফিরে মানুষের পাশে থাকব।'' তিনি কিন্তু সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে ইস্তফা দেননি। বরং তাঁর ইস্তফা অনেকটাই নাটকীয়। তিনি খোদ রাজ্যসভায় দাঁড়িয়ে বিভিন্ন ইস্যুতে সুর চড়িয়ে ইস্তফার কথা জানালেন। সাম্প্রতিক সময়ে BJP-র কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বিভিন্ন মঞ্চ থেকে বাংলায় রাজনৈতিক হিংসার কথা তুলেছে। এরই মধ্যে তৃণমূল শিবিরের দীনেশ ত্রিবেদীর মুখেও একই কথা শোনা গেল। ফলে ভোটের মুখে তৃণমূলের অস্বস্তি আরও কিছুটা বাড়ল বটে!


আরও পড়ুন-  'PM Modi কাপুরুষ, ভারতের জমি চিনকে দিয়েছে', প্রধানমন্ত্রীকে বেনজির আক্রমণ রাহুলের



বিভিন্ন সময়ে তৃণমূলের মধ্যে দীনেশ ত্রিবেদীকে নিয়ে চাপান-উতোর হয়েছে। একটা সময় তাঁকে রেলমন্ত্রী করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পর নেত্রীর সঙ্গেই আলোচনা না করে রেলের ভাড়া বৃদ্ধি করেছিলেন দীনেশ ত্রিবেদী। ফলে দীনেশ ত্রিবেদী কখনও মমতার কাছে, কখনও দূরে অবস্থান করেছেন। কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় অবাঙালি ভোটারদের জন্য তৃণমূলের মুখ ছিলেন এই দীনেশ ত্রিবেদীই। সাংগঠনিক ক্ষেত্রে যদিও তাঁর উপর তৃণমূল ততটা নির্ভরশীল নয়। তবুও অবাঙালি ভোটব্য়াঙ্কের ক্ষেত্রে তিনি তৃণমূলের কাছে বড় ফ্যাক্টর ছিলেন বটে! রাজ্যে রাজনৈতিক হিংসার যে ইস্যু বিজেপি বারবার তুলেছে, সেই অভিযোগের যেন এদিন মান্যতা দিলেন দীনেশ। তাঁর ইস্তফা ভোটের আগে বিজেপির হাতে বাড়তি অস্ত্র তুলে দিল। 


দীনেশ ত্রিবেদীর ইস্তফা প্রসঙ্গে-


অর্জুন সিংয়ের প্রতিক্রিয়া- আমি একটা সময় বলেছিলাম, দীনেশজি কাজ করেননি। আসলে ওঁকে কাজ করতে দেওয়া হয়নি। আমার বিরুদ্ধে আসল লড়াইটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করছিল। দীনেশদাকে সামনে রেখে লড়ছিল অন্যরা। আজ দীনেশদা বুঝতে পেরেছেন নিজের ভুল। ওঁর সঙ্গে কথা বলব। এখনই কথা বলব। ওয়েলকাম বলব। চলে আসুন বিজেপিতে। 


সুখেন্দু শেখর রায়- এক বছরও হয়নি রাজ্যসভায় এসেছেন। কেনই বা এলেন, কেনই বা গেলেন! কবে থেকে দমবন্ধ হল! তিন মাস নাকি এক বছর ধরে! চলে গেলেন ভালই হল। আপদ বিদায়। তৃণমূল স্তরের লোক আনব। এঁরা সুবিধাবাদী। সমস্যাটা আমরা তো জানতেই পারলাম না। আট মাস আগে তো এলেন। এখন হঠাত্ দমবন্ধ। রেলমন্ত্রী থাকার সময় দিদিকে না জানিয়ে কত ভুলভাল সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। ক্ষমতা ছাড়া থাকতে পারেন না। ভবিষ্যতে বড় পদ পাওয়ার আশা। কতবার একটা মানুষের দমবন্ধ হয়!