নিজস্ব প্রতিবেদন- দিল্লি, মুম্বই, কলকাতা, হায়দরাবাদ, নাগপুর, রায়পুর, আহমেদাবাদ, জয়পুর, কোচি, রাঁচি, চণ্ডীগড়, ভোপাল, লখনউ, জম্মু-সহ দেশের ২০টি শহরে দীপাবলিতে ব্যবসা হয় রেকর্ড অঙ্কের। তবে এবার দীপাবলি একটু অন্যরকম ছিল। একে তো করোনার থাবায় গত কয়েক মাস ধরে বাজার মন্দা। দেশবাসীর হাতে নগদ টাকার অভাব। বহু মানুষ কাজ হারিয়েছেন। তার উপর এবার একাধিক রাজ্য বাজি বিক্রি ও পোড়ানোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। সব থেকে বড় কথা, এবার দীপাবলিতে চিন পণ্য বয়কটের ডাক দিয়েছিল সরকার। তবুও জানা যাচ্ছে, দেশের ২০টি শহরে ৭২ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছে। তার মানে দেশের ব্যবসায়ীদর কাছে এবারের দীপাবলি একেবারে অন্ধকারাচ্ছন্ন ছিল না।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

চিন অবশ্য বড় লোকসানের মুখ দেখেছে। দীপাবলির আগে ভারতের বাজার ভরে যায় চিনা দ্রব্যে। রকমারি লাইট থেকে শুরু করে আরও অনেক রকম গিফট আইটেম। এই সময় সস্তায় চিনা পণ্য কেনার ধুম লেগে যায়। উত্সবের মরশুমে এবার কিন্তু বাজারে চিনা পণ্যের রমরমা ছিল না। জামা-কাপড়, খেলনা, খাবার, লাইট, গিফট আইটেম, সব ক্ষেত্রেই এবার চিনের বাজার মন্দায় কেটেছে। জানা যাচ্ছে, ভারতর সঙ্গে বিবাদের জেরে এবার চিনের ৪০ হাজার কোটি টাকা লোকসান হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বারবার বলেছিলেন, স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অবস্থার উন্নতি করতে হবে দেশবাসীদেরই। সেই কথা পালন করেছেন সকলে। স্থানীয় বাজার থেকে পণ্য কিনে দেশের ব্যবসায়ীদের মুখে হাসি ফুটিয়েছেন সকলে।


আরও পড়ুন-  দিল্লিতে করোনা মোকাবিলায় ১২ দফা পদক্ষেপ কেন্দ্রের, বাড়ছে ICU বেড-টেস্টের সংখ্যা


কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স জানিয়েছে, এবার দীপাবলির সময় চিনা পণ্য বাজারে ছিল না বললেই চলে। ফলে আশঙ্কা ছিল। ক্রেতারা স্থানীয় পণ্য কেনার ব্যাপারে আগ্রহ দেখাবেন কি না তা নিয়ে আশঙ্কা ছিল। কিন্তু দিনের শেষে দেখা গেল, ভোকাল পে লোকাল থিওরি কাজে দিয়েছে। চিনা পণ্য ছাড়াই রমরমিয়ে চলেছে ভারতের বাজার। দীপাবলিতে ব্যবসায় মন্দা ছিল না।