নিজস্ব প্রতিবেদন:আমাদের দেশের ভাষা অনেক, বৈচিত্র অনেক, খাদ্যাভ্যাস অনেক কিন্তু দেশটা একটাই। তেরঙ্গা একটাই। এই দেশের জন্য একজনের পক্ষে যতটা করা সম্ভব ততটাই করতে হবে। প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে এনসিসি ও এসএসএস ক্যাডেটদের অনুষ্ঠানে বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

দেশে করোনা মহামারীর প্রসঙ্গে টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনা আমাদের অনেক কিছুই বদলে দিয়েছে। মাস্ক, করোনা টেস্ট, দু গজের দূরত্ব নিয়ে আমাদের বাঁচতে হচ্ছে। তার পরেও তোমাদের উত্সাহ আগে যেমন ছিল তেমনি রয়েছে। দেশে আপাতকালীন অবস্থায় NCC যা করেছে তার যতটা প্রশংসা করা যায় তা কম। করোনারা সময়ে আপনাদের কাজ উল্লেখযোগ্য। এখন ভ্যাকসিন(Covid Vaccine) নিয়ে সাধারণ মানুষকে প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে হবে আপনাদেরই।


আরও পড়ুন-সোমবার থেকে ডিজিটাল Voter-ID Card চালু করছে Election Commission


প্রধানমন্ত্রী(Narendra Modi) বলেন, দেশের স্বাধীনতার জন্য আমরা কিছু করতে পারিনি। কারণ আমার স্বাধীনতার পরে জন্মেছি। স্বাধীনতার জন্য কিছু করতে পারিনি ঠিকই কিন্তু স্বাধীনতার পরে দেশের জন্য সবকিছু অর্পণ করার সুযোগ দিয়েছে। দেশের জন্য যা কিছু করা সম্ভব তা করে যেতে হবে। আপনারা বুঝতে পারেছেন, এই দেশ বৈচিত্রে ভরা। কিন্তু ভারত এক। কোটি কোটি কোটি মানুষের আশার সমন্বয়। সমাজ অনেক, লক্ষ্য এক। রঙ অনেক কিন্তু তেরঙ্গা একটাই।


এনসিসি ক্যাডেটদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী আহ্বান, সকাল থেকে উঠে রাতে শোয়ার আগে পর্যন্ত আপনারা যেসব জিনিস ব্যবহার করেন তা একবার ভালো করে লক্ষ্য় করুন। দেখুন তো, ওইসব জিনিসের মধ্যে কতগুলিতে আমাদের দেশের  শ্রমিকদের ঘাম রক্ত মিশে আছে। দেখলে অবাক হয়ে যাবেন, জানা অজানায় বহু বিদেশি জিনিস আমাদের জীবনে ঢুকে পড়েছে। আমরা জানিই না। এখান থেকে আত্মনির্ভর ভারতের স্বপ্ন শুরু হয়। এর মানে এই নয় যে কালই ওইসব বিদেশি জানিস ফেলে দিন। কিন্তু ওইসব জিনিস আমাদের রোজকার জীবনে আমাদের দাস বানিয়ে দিয়েছে।


আরও পড়ুন-'দেশ কি বেটি' বনাম 'কন্যাশ্রী'; জাতীয় কন্যাদিবসে টুইট-যুদ্ধ মোদী-মমতার  


নয়া প্রজন্মকে প্রধানমন্ত্রীর(Modi) অনুরোধ একবার বুঝে দেখুন, এভাবে আমরা আমাদের দেশের কতটা ক্ষতি করছি। আপনারা ঘুরে দাঁড়ান। তবে এজিনিস আপনারা করতে পারবেন যখন আপনাদের কোনও স্কিল জানা থাকবে। ২০১৪ সালে এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর স্কিল ডেভলপমেন্ট মন্ত্রক গঠন করা হয়েছিল। ওই মন্ত্রকের মাধ্যমে শুধু ট্রেনিয়ংই দেওয়া হয়নি বরং লাখ লাখ যুবাকে আয়ের রাস্তা দেখানো হয়েছিল। দেশের নয়া শিক্ষা নীতিতেও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পড়ুয়াদের নিজের ইচ্ছে মতো পঠনপাঠন নির্বাচন করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। ভোকেশন্যাল এডুকেশন নয়া শিক্ষা নীতিতে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে।