ওয়েব ডেস্ক: রেল স্টেশনগুলিতে আমাদের ভারী ভারী মালপত্র নিজের কাঁধে তুলে নিয়ে যাওয়ার জন্য অনেক মানুষ থাকেন। আগে তাঁদের কুলি বলা হত। এখন তাঁদের সহায়ক বলা হয়। এঁদেরকে আমরা রোজ প্রচুর মানুষের 'বোঝা' বইতেই দেখি। কীভাবে তাঁরা ভারী ভারী জিনিসপত্র বয়ে নিয়ে যান, তা দেখি। কিন্তু কখনও ভেবে দেখেছেন, যাঁরা আমাদের মালপত্র বয়ে নিয়ে যান, তাঁরা কতটা শিক্ষিত? কোন শিক্ষাগত যোগ্যতার মানুষেরা আবেদন করেছেন এই পদে কাজ পাওয়ার জন্য?


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

'কুলি' বা 'সহায়ক'দের সম্পর্কে আমাদের অনেকের মনে একটা অদ্ভূত ধারণা হয়ে গিয়েছে। আমরা অনেকেই মনে করি, এই যে সমস্ত মানুষ আমাদের জিনিসপত্র বয়ে নিয়ে যান, তাঁরা আমাদের তুলনায় কম শিক্ষিত। শিক্ষার অভাব বলেই তাঁরা 'কুলি' বা 'সহায়ক'দের কাজ করেন। আসলে আমাদের এই ধারণা একেবারেই ভুল। আমাদের অনেকের তুলনায় অনেক বেশি শিক্ষিত মানুষও শুধুমাত্র কাজের অভাবের জন্য এই পদে চাকরির আবেদন করেন। তাঁদের কারও শিক্ষাগত যোগ্যতা এম ফিল তো কেউ গ্র্যাজুয়েট বা পোস্ট গ্র্যাজুয়েট।


২৪২৪জন উচ্চশিক্ষিত মানুষ মহারাষ্ট্রের 'কুলি' বা 'সহায়ক' পদের জন্য আবেদন করেছেন। তাঁদের মধ্যে ৯ জন পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা, ৯ জন এম ফিল, ৯৮৪ জন গ্র্যাজুয়েট। এছাড়াও ১০৯ জন ডিপ্লোমা, ২৫৩ জন PG ডিগ্রিধারী। পাশাপাশি ৬০৫ জন উচ্চবিদ্যালয় পাশ আর ২৮২ জন দশম শ্রেণী পাশ।


২০১৫ সালের ডিসেম্বরে মহারাষ্ট্রের লোকসেবা আয়োগ কুলি বা সহায়ক পদে নিয়োগের একটি বিজ্ঞাপন দেয়। সেখানে শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে দেওয়া হয়েছিল সর্বনিম্ন চতুর্থ শ্রেণী পাশ। এবং আবেদনকারীকে অবশ্যই স্থানীয় ভাষায় পারদর্শী হতে হবে। সেই বিজ্ঞাপনের জেরেই এত উচ্চশিক্ষিত মানুষও এই পদে চাকরির আবেদন জানিয়েছেন।