জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ৫ বছরের শিশুর পেটে বাল্ব! জানা গিয়েছে, ভুলবশত ওই ছেলে একটি এলইডি বাল্ব গিলে ফেলে। এমনকি সেটি প্রায় এক মাস ধরে তাঁর ফুসফুসে রয়ে গিয়েছিল। ডাক্তাররা এটিকে বুকের ওপেন সার্জারি ছাড়াই বের করতে সক্ষম হয়েছেন। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শ্রীরামচন্দ্র হাসপাতালের চিকিৎসকদের মতে, অস্ত্রোপচারের পর ছেলেটি সহজেই শ্বাস নিতে সক্ষম হয়েছে। এরপর তাঁকে দুইদিন পরে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। অঘটনটি ঘটে এপ্রিল মাসে। জানা গিয়েছে, ছেলেটি একটি খেলনা গাড়ি নিয়ে খেলছিল। সেই গাড়িতেই এলইডি বাল্বটি লাগানো ছিল। খেলার ছলে সে ওই বাল্বটিকে গিলে ফেলে। তৎক্ষণাৎ তাঁর মা তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান। 


আরও পড়ুন:Bengaluru Weather: বেঙ্গালুরু এখন নরক! হিটওয়েভের কোপে ২০ বছর পর এটাই করতে হল শহরবাসীকে...


হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর বাচ্চাটির স্ক্যান করানো হয়। সেখানে দেখা যায় তাঁর ফুসফুসে বাল্বটি আটকে গিয়েছে। যার ফলে কাশি, শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। চিকিৎসকরা একটি ব্রঙ্কোস্কোপ ব্যবহার করে বস্তুটি বার করার চেষ্টা করে। ব্রঙ্কোস্কোপ হল একটি ক্যামেরা এবং আলো লাগানো একটি নমনীয় টিউব।


হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক সার্জন বলেন, 'বাল্বটি ক্রমশ নিচে সরে গিয়ে পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে। বাচ্চাটির অভিভাবকদের জানানো হয় যে বাল্বটি বার করার একমাত্র উপায় ওপেন সার্জারি।' 
২৬ এপ্রিল অস্ত্রোপচারের ভয়ে শিশুটিকে শ্রী রামচন্দ্র হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। প্রাথমিক পরীক্ষার পর, তাঁর ক্রমাগত কাশি-শ্বাসকষ্টের সমস্যা হচ্ছিল। চিকিৎসক আরও জানিয়েছিলেন, 'আমরা জানতাম যে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাল্বটিকে বার করতে হবে। কারণ এটি শ্বাসনালীতে বাধা দিতে পারে, ফুসফুসের টিস্যুকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে এবং সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। আমরা আরও একবার ব্রঙ্কোস্কোপ করার ঝুঁকি নিতাম।'


তিনি আরও বলেন, 'ব্রঙ্কোস্কোপের সম্ভাব্য ঝুঁকি সম্পর্কে অভিভাবকদের জানান। বাল্বটি শ্বাস-প্রশ্বাসের টিউব শাখায় ছিল। ব্রঙ্কোস্কোপ যদি ব্যর্থ হয়, তবে আমাদের ওপেন হার্ট সার্জারি করতে হবে।' অপারেশনে অন্তত তিনজন শিশু সার্জন এবং তিনজন অ্যানেস্থেসিওলজিস্ট ছিলেন। প্রক্রিয়াটি প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে চলে। অবশেষে চিকিৎসকরা এই পদ্ধতির মাধ্যমেই সফলভালে বাল্ব বার করতে সক্ষম হয়।


আরও পড়ুন:Madhya Pradesh: স্ত্রীর সঙ্গে যৌনাচারী স্বাভাবিক, বিকৃতকাম হলেও! সম্মতি নেওয়ার প্রশ্নই নেই: হাইকোর্ট


এর আগে একজন ২৬ বছর বয়সী যুবক খেয়েছিলেন  ৩৯ কয়েন, ৩৭ ম্যাগনেট। দিল্লির এক হাসপাতালের ডাক্তাররা সফলভাবে তাঁর অন্ত্রে অস্ত্রোপচার করে ওইগুলি বার করতে সক্ষম হয়েছেন। জানা গিয়েছে, ওই যুবক একজন সিজোফ্রেনিয়া রোগী। এটি এক ধরণের মানসিক রোগ। জিঙ্ক বডি বিল্ডিং-এ সাহায্য করে। সেই কারণেই ওই যুবক এমন এক অদ্ভুত কাণ্ড ঘটালেন।


 



(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)