নিজস্ব প্রতিবেদন : ২০১৯-এর নির্বাচনের আগে এটাই নরেন্দ্র মোদী সরকারের পূর্ণাঙ্গ বাজেট। বাজেটের আগে জি মিডিয়ার মুখোমুখি প্রধানমন্ত্রী। তার আগে জিএসটি, নোট বাতিল থেকে কর্মসংস্থান, বিদেশনীতি থেকে নির্বাচন। তারই মাঝে জি নিউজের স্টুডিওয় বছরের প্রথম সাক্ষাত্কার দিলেন মোদী। জি নিউজের সম্পাদক সুধীর চৌধুরীর সঙ্গে একান্ত সাক্ষাত্কারে প্রতিটি বিষয় নিয়ে জানালেন তাঁর ভাবনার কথা। জি নিউজে সেই এক্সক্লুসিভ সাক্ষাত্কারটি দেখুন শনিবার রাত ৮টায়। আর ২৪ ঘণ্টায় রাত ৯টায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রধানমন্ত্রীর কথায়, ''৩০ বছর পর ২০১৪ সালে কোনও দল পূর্ণ শক্তি নিয়ে কেন্দ্রে ক্ষমতায় এসেছে। এটাই ছিল গোটা বিশ্বের কাছে আকর্ষণের বিষয়। সেই আকর্ষণকেই আমি কাজে লাগিয়েছি। সবাই বলেছিল, আমার জ্ঞান গুজরাট পর্যন্তই সীমাবদ্ধ। কিন্তু, আমি গোটা বিশ্বকে নিজের বন্ধু বানিয়েছি। আমি প্রোটোকল মানি না। তাই হয়তো এমন কাজ করতে পেরেছি।'' তিনি বলেন, ''আসলে কি জানেন? আমি নিজেকে প্রধানমন্ত্রী মোদী হিসেবে তুলে ধরি না। বরং, দেশের ১২৫ কোটি মানুষের প্রতিনিধি হিসেবে বিশ্বের দরবারে নিজেকে পরিচিত করেছি।''


আরও পড়়ুন- উন্নয়নই বাজেটের একমাত্র লক্ষ্য : মোদী  


আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগে পয়লা ফেব্রুয়ারি বর্তমান মোদী সরকারের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট। কী থাকতে চলেছে সেই বাজেটে? কোন কোন ইস্যুতে জোর দেওয়া হবে এবারের বাজেটে? অ্যাজেন্ডা ভোট না উন্নয়ন? প্রশ্ন ছিল অনেকের মনেই। নির্বাচন থাকুক বা না থাকুক, দেশের উন্নয়নই যে তাঁর একমাত্র লক্ষ্য তা সাফ জানিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী।  


কর্মসংস্থান প্রসঙ্গেও জি নিউজকে খোলাখুলি উত্তর দেন মোদী। তিনি বলেন, ''গত এক বছরে ৭০ লক্ষ মানুষ এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ডে যুক্ত হয়েছেন। মুদ্রা যোজনায় ব্যবসা করার জন্য লোন নিয়েছেন ১০ কোটি মানুষ।''


আরও পড়ুন- জি নিউজে প্রধানমন্ত্রীর এক্সক্লুসিভ সাক্ষাত্কার, দেখুন হাইলাইটস


জিএসটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ। এক রাষ্ট্র এক কর ব্যবস্থা নিয়ে জি নিউজের কাছে সাফ মন্তব্য প্রধানমন্ত্রীর। তিনি বলেন, এই কর নীতির ফলে দেশের মানুষের উপকার হচ্ছে। কিন্তু রাজনৈতিক স্বার্থে এর বিরোধিতা হচ্ছে।


প্রধানমন্ত্রীর কথায়, স্বাধীনতার পর থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ভারতে এমন উন্নয়ন হয়নি। গোটা বিশ্ব এখন ভারতের সঙ্গে কথা বলতে চায়। বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে অনেক। তিনি বলেন, 'ইস অফ বিজনেস ডুয়িং'-এ ভারত ১৪২ থেকে ১০০-তে উঠে এসেছে। উল্লেখ্য, ২৩-২৬ জানুয়ারি দাভোসে অনুষ্ঠিত হতে চলা ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরামের মঞ্চের উপর বিশেষ জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর মতে, বিশ্ব অর্থনীতিকে যারা নেতৃত্ব দেন, তারা সকলেই এখানে উপস্থিত থাকবেন। ভারতের জিডিপি ক্রমশ বাড়তে থাকায় এবং দেশে গণতন্ত্র সুদৃঢ় হওয়ায় এক্ষেত্রে ভারত বেশ ভাল জায়গায় রয়েছে। এই মঞ্চে ভারতকে নিজের ক্ষমতা সম্পর্কে বিশ্বকে অবহিত করতে হবে।