`ফিল্মি কায়দায়` বাইক ছুটিয়ে চালকবিহীন ট্রেনের ইঞ্জিন থামালেন রেলকর্মী
এ যেন ঠিক সেলুলয়েডের একটি দৃশ্য! চালকবিহীন ইঞ্জিন চলতে শুরু করেছে লাইনের ওপর দিয়ে। আর তার পিছনে মোটরবাইকে সওয়ার হয়ে ধাওয়া করছেন এক ব্যক্তি। তিনি এক রেলকর্মী। চলন্ত বাইক থেকে এক লাফে ইঞ্জিনে উঠে অবশেষে কোনও মতে ট্রেনটিকে থামালেন তিনি। সিনেমার দৃশ্য মনে হলেও, ভারতের মাটিতেই এমন ঘটনা ঘটেছে। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে কর্নাটকের ওয়াদি জংশনে।
নিজস্ব প্রতিবেদন : এ যেন ঠিক সেলুলয়েডের একটি দৃশ্য! চালকবিহীন ইঞ্জিন চলতে শুরু করেছে লাইনের ওপর দিয়ে। আর তার পিছনে মোটরবাইকে সওয়ার হয়ে ধাওয়া করছেন এক ব্যক্তি। তিনি এক রেলকর্মী। চলন্ত বাইক থেকে এক লাফে ইঞ্জিনে উঠে অবশেষে কোনও মতে ট্রেনটিকে থামালেন তিনি। সিনেমার দৃশ্য মনে হলেও, ভারতের মাটিতেই এমন ঘটনা ঘটেছে। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে কর্নাটকের ওয়াদি জংশনে।
জানা গেছে, বুধবার দুপুর চেন্নাই থেকে মুম্বই যাচ্ছিল একটি এক্সপ্রেস ট্রেন। ট্রেনটি কর্নাটকের ওয়াদি জংশনে এসে দাঁড়ায়। সোলাপুর যাওয়ার জন্য ওয়াদি থেকে বেশকিছুটা অংশে বৈদ্যুতিকরণ না থাকায় ওয়াদিতে ইলেকট্রিক ইঞ্জিন থেকে কামরাগুলিকে খুলে ফেলা হচ্ছিল। উদ্দেশ্য সেগুলিকে ডিজেল লোকোর সঙ্গে লাগিয়ে গন্তব্যে রওনা করা হবে। হলও তাই। ডিজেল ইঞ্জিনের সঙ্গে ট্রেনটি যুক্ত করার পর সেটিকে আবার রওনা করিয়ে দেওয়া হয় নির্দিষ্ট গন্তব্যের দিকে। কিন্তু, ততক্ষণে সকলের চোখ এড়িয়ে ইলেকট্রিক ইঞ্জিনটি চালক ছাড়াই লাইনের ওপর গড়াতে শুরু করে।
তবে তা টের পেতে বেশি সময় লাগেনি। প্রথমে সেই ঘটনা চোখে পড়ে খোদ চালকেরই। কোনও উপায় না দেখে, একটি মোটরবাইক নিয়েই ইঞ্জিনের পিছনে ছুট লাগান সেখানে উপস্থিত এক রেলকর্মী। এদিকে, কোনওরকম দুর্ঘটনা এড়াতে পরবর্তী স্টেশনগুলিকে ঘটনা জানিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। উল্টো দিক থেকে আসা ট্রেনগুলিকেও থামিয়ে দেওয়া হয় বিভিন্ন স্টেশনে। অবশেষে বাইক নিয়ে ওয়াদি থেকে ১৩ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে কোনওমতে ইঞ্জিনটিতে থামান তিনি। তবে গোটা ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে রেল।