বিধায়কদের মৃত্যু মিছিল! বিধানসভার `বাস্তু দোষ` কাটানোর প্রস্তাব বিধায়কের
চলতি মাসে মৃত দুই বিধায়কের প্রতি শোক জ্ঞাপনের পর মধ্যপ্রদেশের পরিষদীয় মন্ত্রী নরোত্তম মিশ্রকে `বাস্তু দোষ` কাটানোর জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করেন কে পি সিং। প্রস্তাবটি নিয়ে আলোচনার আশ্বাস দিয়েছেন মধ্যপ্রদেশ বিধানসভার অধ্যক্ষ সীতাশরণ শর্মা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: একের পর এক বিধায়কের মৃত্যুর জন্য বিধানসভার বাস্তু দোষকেই দায়ী করলেন মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেসি বিধায়ক। তাই বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনে বাস্তু দোষ কাটাতে রীতিমতো প্রস্তাবই পেশ করে ফেললেন তিনি। কেপি সিং নামে কংগ্রেসের ওই প্রবীণ বিধায়কের দাবি, চলতি বিধানসভা গঠনের পর প্রাণ গিয়েছে ৯ জন বিধায়কের। এর পিছনে বাস্তু দোষকে দায়ী করে দুশ্চিন্তার কথা জানিয়েছেন কেপি সিং।
চলতি মাসে মৃত দুই বিধায়কের প্রতি শোক জ্ঞাপনের পর মধ্যপ্রদেশের পরিষদীয় মন্ত্রী নরোত্তম মিশ্রকে 'বাস্তু দোষ' কাটানোর জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করেন কে পি সিং। প্রস্তাবটি নিয়ে আলোচনার আশ্বাস দিয়েছেন মধ্যপ্রদেশ বিধানসভার অধ্যক্ষ সীতাশরণ শর্মা।
'বাস্তু দোষ' সংক্রান্ত বিষয়ে তাঁর নিজের বিশ্বাস নেই বলে উল্লেখ করলেও সীতাশরণ শর্মা বলেন, রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষ পদে শ্রীনিবাস তিওয়ারি থাকাকালীন (১৯৯৩-২০০৩) 'বাস্তু দোষ' কাটানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। সেই সময় মধ্যপ্রদেশে ক্ষমতায় ছিল কংগ্রেস সরকার। আরও পড়ুন- বাস্তু মতে এগুলো মানলেই আপনি বড়লোক!
উল্লেখ্য, প্রায় এক দশক আগে ইন্দৌরের ইনস্টিটিউট অফ বৈদিক বাস্তু অ্যান্ড রিসার্চের কাছ থেকে এই রকম একটি রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছিলেন মধ্যপ্রদেশেরই বিজেপি নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। ২০০৮ সালে সমাজবাদী পার্টির রাজ্য সভাপতি নারায়ণ ত্রিপাঠীও 'বাস্তু দোষ' কাটাতে সর্বদল যজ্ঞের আয়োজন করেছিলেন। আরও পড়ুন - এই ৭ টি বাস্তু পরামর্শ মেনে চলুন, ভালো হবে আপনার