ওয়েব ডেস্ক:  ট্রেনে যেতে গিয়ে শেষ পর্যন্ত পলিটব্যুরো বৈঠকের প্রথম অর্ধে থাকতেই পারলেন না সূর্যকান্ত মিশ্র। আজ শিয়ালদা-রাজধানী দিল্লি পৌঁছয় চার ঘণ্টা দেরিতে। সকাল দশটায় শুরু হয় সিপিএমের পলিটব্যুরো বৈঠক। বিমান বসু,  মহম্মদ সেলিম থাকলেও সূর্যকান্ত মিশ্র তখনও ট্রেনে। দুটোয় দিল্লিতে পা দিয়ে বৈঠকের দ্বিতীয় অর্ধে অবশ্য যোগ দেন সূর্যকান্ত। তিনদিনের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে কী কী আলোচনা হবে এবং তার অভিমুখ কী হবে, সেটাই মূলত পলিটব্যুরো বৈঠকের মূল আলোচ্য ছিল। সেখানে রাজ্যে কংগ্রেস-সিপিএম জোট কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে এক নম্বর এজেন্ডা। পলিটব্যুরোর সেই আলোচনাতেই থাকতে পারলেন না জোটের অন্যতম কারিগর।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 


অনাড়ম্বর জীবন কাটাতেই পছন্দ করেন সূর্যকান্ত মিশ্র। এমনকী তাঁর পরিবারও।


 


দিল্লিতে পলিটব্যুরো বৈঠকে যোগ দিতে সূর্যকান্ত ঠিক করেন,  প্লেনে না গিয়ে ট্রেনে যাবেন। এর আগে বিরোধী দলনেতা হিসাবে প্লেনের ভাড়া পেতেন। কিন্তু এবার প্লেনে যেতে হলে পার্টির পয়সায় যেতে হত। তাই শ্যামল চক্রবর্তীকে সঙ্গে নিয়ে চেপে বসেন শিয়ালদা-রাজধানী এক্সপ্রেসে।


 


সকাল দশটায় রাজধানীতে ঢোকার কথা রাজধানী এক্সপ্রেসের। পলিটব্যুরো বৈঠক শুরুর কথা সাড়ে দশটায়। ফলে অসুবিধা হওয়ার কথা ছিল না। কিন্তু মাঝপথে বিপত্তি। উত্তর-মধ্য রেলে মোগলসরাইয়ের পর ট্র্যাক মেরামতির কাজ চলছিল। ফলে রাজধানী এক্সপ্রেস দিল্লিতে ঢোকে চার ঘণ্টা বাদে।


 


ততক্ষণে পলিটব্যুরো বৈঠকের প্রথম অর্ধ শেষ। বৈঠকের দ্বিতীয় অর্ধে অবশ্য অংশ নেন সূর্যকান্ত। সিপিএমের অন্য দুই পলিটব্যুরো সদস্য বিমান বসু ও মহম্মদ সেলিম অবশ্য ছিলেন বৈঠকে। এবারের পলিটব্যুরো বাংলার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। শনিবার থেকে শুরু হচ্ছে তিনদিনের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক। এবারের বৈঠকে অন্যতম এজেন্ডা কংগ্রেসের হাত ধরে কি আদৌ ঠিক করেছে দল?  সিপিএমের অন্দরের অনুমান, এই প্রশ্নে ঝড় উঠতে চলেছে কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে। সেই ঝড়ের পূর্বাভাস মিলেছে পলিটব্যুরো বৈঠকে। সেখানেই থাকতে পারলেন না সূর্যকান্ত।