জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ধস নেমেছে গ্যাংটক (Gangtok) থেকে লাচুং যাওয়ার পথে। ভরা বসন্তে অকালবৃষ্টিতে বিপর্যস্ত সিকিম। ফলে ব্যাপক সমস্যায় পড়েছেন উত্তরবঙ্গ তথা সিকিম-দার্জিলিং ঘুরতে যাওয়া পর্যটকেরা। জানা গিয়েছে, এই বিপর্যয়ের ফলে অসংখ্য মানুষ মাঝপথে আটকে। পাহাড়ের কোনও রাস্তাই এখন নাকি নিরাপদ নয় বলে জানাচ্ছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: Geomagnetic Storm: বড় বিপর্যয়! সাম্প্রতিক কালের মধ্যে এরকম সৌরঝড়ের মুখোমুখি হয়নি পৃথিবী...


যদিও কদিন আগেই, গত অক্টোবর মাসেই এক প্রস্ত বিপদের সম্মখীন হয়েছে উত্তরবঙ্গ। তিস্তার জল বেড়ে ফুলে-ফেঁপে উঠেছিল লাচুং নদী। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল রাস্তাঘাট-সেতু। কেন সিকিমে বারবার এরকম হচ্ছে? সিকিমের এই পরিস্থিতি নিয়ে সম্প্রতি মতামত প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞেরা।


আইআইটি খড়গপুরের জিওলজি এবং জিওফিজিক্স বিভাগ উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতি নিয়ে আলোকপাত করেছে। তারা বলেছে, ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে অগাস্টের মাঝামাঝি পর্যন্ত সিকিমের পাহাড়ি এলাকা পর্যটকদের পক্ষে একেবারেই নিরাপদ নয়। তাঁরা বলছেন, বরং অগাস্টের শেষ থেকে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত জায়গাগুলি তুলনায় নিরাপদ।


তারা জানাচ্ছে, বর্ষার সময় পাহাড়ের পরিস্থিতি এমনিতেই বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। এই সময়ে একটু কম্পনেই গ্র্যাভিটি ফেলিওরের আশঙ্কা অনেক বেশি থাকে। তাছাড়া, এমনিতেই সিকিমের মতো ধসপ্রবণ এলাকা যে কোনও সময়ে বিপর্যয়প্রবণই থাকে। এর সব চেয়ে বড় কারণ, প্রকৃতির উপর অনিয়ন্ত্রিত অত্যাচার। যত্রতত্র গাছ কাটা, নির্মাণ শুরু করে দেওয়া ইত্যাদি।


কদিন আগেই ধস নেমেছিল জাতীয় সড়কে। পাহাড় থেকে ক্রমাগত পাথর পড়ে যানবাহন চলাচল একপ্রকার বন্ধই হয়ে গিয়েছিল। টানা বৃষ্টির জেরে এরকম ঘটেছিল। ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের লিখুভির এলাকায় ক্রমাগত পাহাড় থেকে পাথর পড়ায় যানবাহন চলাচল বন্ধ। সিকিমগামী সমস্ত যানবাহন ঘুরপথে সিকিম পাঠানো হচ্ছিল।


আরও পড়ুন: Shakti and Shiva: কোটি কোটি বছরের পুরনো মিল্কিওয়ের ভিতরে 'শিব' আর 'শক্তি'কে দেখতে পেলেন বিজ্ঞানীরা?


১০ নম্বর জাতীয় সড়ক উত্তর-পূর্ব ভারতের একটি জাতীয় মহাসড়ক। এটি শিলিগুড়িকে গ্যাংটকের সঙ্গে সংযুক্ত করে। এটি পশ্চিমবঙ্গ ও সিকিমের মধ্য দিয়ে গিয়েছে। সড়কটি শিলিগুড়ি শহরের পশ্চিম শহরতলিতে জাতীয় সড়ক ২৭ থেকে শুরু। এরপর রাস্তাটি শিলিগুড়ি শহরের উত্তর অংশ দিয়ে আরও উত্তরে এগোয়। তারপর মহানন্দা জাতীয় উদ্যান অতিক্রম করে সেভকে পৌঁছয়। সেভক থেকে তিস্তার পাশ দিয়ে পাহাড়ের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হয় পথটি। পথটি ক্রমে কালিম্পং অতিক্রম করে সিকিমে ঢোকে। এরপর সিকিমের রাজধানী গ্যাংটক শহরে গিয়ে শেষ হয়।


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)