UP School: শিক্ষিকার `কীর্তি` ভাইরাল, যোগী রাজ্যে সেই স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ শিক্ষা দফতরের
ওই স্কুলে যারা পড়ে, তাদের ভর্তি করা হবে কাছাকাছি অন্য একটি স্কুলে। `বাবা-মা-ই ওই পড়ুয়াকে শাসন করার জন্য় চাপ দিচ্ছিলেন`, দাবি অভিযুক্ত শিক্ষিকার।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সংখ্যালঘু পড়ুয়াকে মারের নিদান সহপাঠীদের! শিক্ষিকার 'কীর্তি' এখন ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। উত্তরপ্রদেশের সেই স্কুলটি বন্ধ রাখার নির্দেশ দিল শিক্ষা দফতর। কতদিন? যতদিন না তদন্ত শেষ হচ্ছে। ওই স্কুলে যারা পড়ে, তাদের ভর্তি করা হবে কাছাকাছি অন্য একটি স্কুলে।
জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত শিক্ষিকার নাম তৃপ্তি ত্যাগী। ভাইরাল ভিডিয়ো দেখা যাচ্ছে, ক্লাসে অসহায়ভাবে দাঁড়িয়ে রয়েছে এক পড়ুয়া। দু'চোখ দিয়ে যখন জল গড়িয়ে পড়ছে, তখন তাকে মারার জন্য় সহপাঠীদের নির্দেশ দিচ্ছেন তৃপ্তি! তারপর? সহপাঠীকে রীতিমতো চড়-থাপ্পড় মারতে থাকে ক্লাসের অন্য পড়ুয়ারা। আরও মারার জন্য তাদের উসকানি দেন ওই শিক্ষিকা। বলেন, মেরে গাল লাল করে করে দিতে!
নিন্দার ঝড় ওঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। রাজনৈতিক চাপানউতোরও তুঙ্গে। 'বিভেদের বীজ বপন করা হচ্ছে শিশুদের নিষ্পাপ মনে', ট্যুইট করেছেন রাহুল গান্ধী। তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে তৃণমূলও।
স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অবশ্য অভিযোগ দায়ের করতে নারাজ আক্রান্ত পড়ুয়ার বাবা। তবে ছেলে আর ওই স্কুলে না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। ওই পড়ুয়া ও তার বাবা-মাকে কাউন্সেলিং করেছে শিশু সুরক্ষা কমিটি। অভিযুক্ত শিক্ষিকার অবশ্য দাবি, 'বাবা-মা-ই ওই পড়ুয়াকে শাসন করার জন্য় চাপ দিচ্ছিলেন। আমি প্রতিবন্ধী। সেকারণেই কয়েকজন ছাত্রকে চড় মারতে বলেছিলাম, যাতে ও হোমওয়ার্ক করা শুরু করে'।
আরও পড়ুন: PM Modi at Isro: 'ইসরো'য় কাঁদলেন মোদী! ঘোষণা করলেন 'ন্যাশনাল স্পেস ডে'র দিন...