নিজস্ব প্রতিবেদন- উত্তরপ্রদেশের কানপুরে বৃহস্পতিবার রাতে শহিদ হলেন আটজন পুলিসকর্মী। অপরাধী ধরতে গিয়ে বিপদে পড়ে যায় পুলিসের গোটা টিম। ডিএসপি ও তিনজন সাব ইন্সপেক্টরসহ মোট আটজন পুলিসকর্মী শহিদ হয়েছেন। চৌবেপুর থানা এলাকার একটি গ্রামে রাতে অভিযান চালাতে যায় পুলিসের একটি দল। সেই সময় দাগী অপরাধী বিকাশ দুবের গ্যাং-এর লোকজন পুলিসের উপর এলোপাথাড়ি গুলি ছুড়তে শুরু করে। পুলিস জানিয়েছে, একটি বাড়ির ছাদ থেকে এলোপাথাড়ি গুলি ছুড়তে শুরু করে দুষ্কৃতিরা। পুলিস পাল্টা গুলি চালালো তিনজন দুষ্কৃতি মারা পড়ে বলেও দাবি করা হয়েছে। দুষ্কৃতিরা পুলিসের অস্ত্র ছিনতাই করেছে বলেও অভিযোগ। বিকাশ দুবেকে অবশ্য পুলিস ধরতে পারেনি। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কানপুরে রাহুল তিওয়ারি নামের এক ব্যাক্তিকে খুনের ষড়যন্ত্র করার অভিযোগ উঠেছিল বিকাশ দুবের বিরুদ্ধে। এর পরই পুলিস বিকাশকে পাকড়াও করতে বিকরু গ্রামে অভিযান চালায়। গ্রামে পুলিসের প্রবেশে বাধা দিতে আগে থেকেই জেসিবি গাড়ি দিয়ে রাস্তা ব্লক করে রেখেছিল দুষ্কৃতিরা। এর পরই গ্রামের একটি বাড়ির ছাদ থেকে পুলিসের উপর এলোপাথাড়ি গুলি ছুড়তে শুরু করে দুষ্কৃতিরা। অতর্কিত হামলার জন্য প্রস্তুত ছিল না পুলিসের টিম। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এসটিএফ-এর টিমকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। উত্তরপ্রদেশের চারিদিকের সীমান্ত সিল করে দেওয়া হয়েছে। 


আরও পড়ুন- এলোপাথাড়ি গুলির মাঝে ৮০ মিটার হামাগুড়ি! বাচ্চাকে বাঁচানো জওয়ানের জন্য গর্বিত দেশ


আহত সাতজন পুলিসকর্মীর চিকিত্সা চলছে। বিকাশ দুবের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে যোগীর প্রশাসন। কিন্তু কে এই বিকাশ দুবে! ২০০১ সালে থানায় ঢুকে মন্ত্রী সন্তোষ শুক্লাকে খুন করেছিল বিকাশ। খুন, অপহরণসহ মোট ৬০টি মামলা রয়েছে তার নামে। এর আগেও পুলিসকর্মী খুনের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। একাধিকবার গ্রেফতারও করা হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু সাক্ষী, প্রমাণের অভাবে শেষমেশ ছাড়া পেয়ে যায় বিকাশ।