ব্যুরো: EVM বিতর্কে এবার হ্যাকাথনের প্রস্তুতি। নির্বাচন কমিশনের চ্যালেঞ্জ, মেশিন হ্যাক করে দেখাক রাজনৈতিক দলগুলি। কারচুপি সম্ভবই নয়। সর্বদল বৈঠকে অনড় অবস্থানে কমিশন। ব্যালট নাকি EVM? দ্বিধাবিভক্ত রাজনৈতিক শিবির। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গণতন্ত্রে সর্বোত্তম হাতিয়ার, ভোট। প্রত্যেকের অধিকার। তবে এ যুদ্ধে অস্ত্রই যদি শক্তিহীন করে, তাহলে? প্রশ্ন এখানে EVM নিয়ে। যত বিতর্কও। কংগ্রেস থেকে এসপি, বিএসপি, আপ, এমনকি তৃণমূলেরও অভিযোগ, EVM কারচুপি চলছে। ভোটের সুরক্ষা নেই। নির্বাচন কমিশন তা মানতে নারাজ। এই বিতর্কের ফয়সালা করতেই শুক্রবার দিল্লিতে সর্বদল বৈঠকে বসেন কমিশন কর্তারা। কমিশনের সাফ কথা, ইভিএম কারচুপি অসম্ভব। এদিনের বৈঠকের পর কমিশনের ঘোষণা, এবার থেকে শুধু লোকসভা ভোট নয়, সব বিধানসভা ভোটেও EVM-এর সঙ্গে VVPAT মেশিন ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে VVPAT মেশিন কেনার জন্য অর্থ বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র। 


কমিশনের চ্যালেঞ্জ


ভোট-মেশিনে কারচুপি বিতর্কে রীতিমতো চ্যালেঞ্জিং মুডে কমিশন। রাজনৈতিক দলগুলিকে EVM হ্যাকের চেষ্টার সুযোগ দেবে কমিশনই। EVM চ্যালেঞ্জের দিনক্ষণ অবশ্য এখনই খোলসা করেনি নির্বাচন কমিশন। 


ইভিএম বিতর্কে হ্যাকাথনের দাবিতে এদিন বৈঠকে সুর চড়ায় আপ। তবে সর্বদল বৈঠকে EVM বিতর্কে দ্বিধাবিভক্ত ছিল রাজনৈতিক দলগুলিই। তৃণমূল কংগ্রেস, সিপিআই সহ বেশ কয়েকটি দলের দাবি, ভোট হোক ব্যালটে। সিপিএম সহ রাজনৈতিক শিবিরের একাংশের  মত, আরও সতর্কতার সঙ্গে EVM-এ ভোট হোক। জারি টানাপোড়েন। সর্বদল বৈঠকও এক্ষেত্রে পথ দেখাতে ব্যর্থ। ঝড়ের ইঙ্গিত স্পষ্ট আগামিদিনে।