নিজস্ব প্রতিবেদন: রমজানে নির্বাচন নিয়ে তৃণমূলের তোলা অভিযোগের জবাব দিল কমিশন। সোমবার দিল্লিতে কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, কোনও ধর্মীয় উত্সবের জন্য গোটা মাস নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া সম্ভব নয়। তবে রমজানের কথা মাথায় রেখে ওই মাসের বিশেষ দিনগুলি ও শুক্রবারে ভোটগ্রহণ ফেলা হয়নি। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বলে রাখি, রবিবার দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল আরোরা। এর পরই রমজানে নির্বাচন করানো নিয়ে প্রশ্ন তোলে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের তরফে মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, 'এর ফলে ভোট দিতে পারবেন না বহু সংখ্যালঘু মুসলিম। বিজেপি চায় না মুসলিমরা ভোট দিক।' তৃণমূলের সুরে সুর মিলিয়েছিল আরও কয়েকটি দল। 



১১ এপ্রিল লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটগ্রহণ। তার আগেই শুরু হচ্ছে মুসলিমদের পবিত্র রমজান মাস। রীতি মেনে এই মাসে উপবাস করেন বহু মুসলিম। গোটা দিন উপবাসের পর সন্ধ্যায় খাবার খান তাঁরা। রমজানের এই উপবাস 'রোজা' নামে পরিচিত। 


নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, রমজানে ভোট এড়াতে গেলে ১ মাস পিছিয়ে যেত গোটা প্রক্রিয়া। ফলে সময়ের মধ্যে গোটা প্রক্রিয়া শেষ করা অসম্ভব হয়ে পড়ত। তাই রমজানের বিশেষ দিনগুলিতে ভোটগ্রহণ এড়ানো হয়েছে। তাছাড়া শুক্রবারেও ফেলা হয়নি কোনও ভোটগ্রহণের দিন। 


একই সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের ৭ দফায় ভোটগ্রহণেরও বিরোধিতা করেন তিনি। বলেন, নির্বাচন কমিশন সাংবিধানিক সংস্থা, তাই তার সমালোচনা করছি না। কিন্তু ৭ দফায় নির্বাচন হওয়ায় পশ্চিমবঙ্গ, বিহার ও উত্তর প্রদেশের মানুষের সমস্যা হবে। 


মুকুলের খপ্পর থেকে অর্জুন সিংকে বাঁচাতে নবান্নে ডেকে কথা মমতার


ওদিকে তৃণমূলের দাবির বিরোধিতা করেছেন এআইএমআইএম নেতা আসাদউদ্দিন ওবেইসি। তিনি বলেন, 'রমজানে ভোটগ্রহণ নিয়ে অহেতুক রাজনীতি করছে কয়েকটি রাজনৈতিক দল। তাদের বলব নিজেদের রাজনৈতিক লাভের জন্য রমজানকে ব্যবহার করবেন না। রমজানে মুসলিমদের ভোট দিতে কোনও সমস্যা হয় না।'