অবশেষে রাজনীতিতে ‘পিকে’, নীতীশের দলে যোগ দিলেন প্রশান্ত কিশোর
বছর একচল্লিশের প্রশান্ত গত সপ্তাহেই আভাস দিয়েছিলেন, রাজনীতিতে আসছেন তিনি। হায়দরাবাদের ইন্ডিয়ান স্কুল অব বিজনেসের একটি অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “নিজের জন্য প্রচার শেষ, এখন রাজনীতির জন্য আমি প্রস্তুত।”
নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজনীতির ব্যাকস্টেজে এত দিন ছিলেন মূখ্য ভূমিকায়। সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে, এ বার সক্রিয় রাজনীতিতে পা দিলেন ‘নির্বাচনী কৌশলীকার’ প্রশান্ত কিশোর। নীতীশের কৌটিল্য হিসাবে পরিচিত প্রশান্ত কিশোর রবিবার যোগ দিলেন জনতা দল ইউনাইটেড-এ। বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শদাতা হিসাবে কাজ করতেন তিনি। গত বিহার নির্বাচনে যে জোট মডেল নিয়ে বিজেপিকে পরাস্ত করেছিলেন নীতীশ-লালু, সেই মডেলর মস্তিষ্কপ্রসূত এই ‘পিকে’র। রাজনৈতিক অন্দরে তাঁকে পিকে বলেই ডাকেন সবাই।
আরও পড়ুন- লোকসভা ভোটের আগেই শুরু হবে মন্দির নির্মাণের কাজ, দাবি রাম জন্মভূমি ন্যাস প্রধানের
বছর একচল্লিশের প্রশান্ত গত সপ্তাহেই আভাস দিয়েছিলেন, রাজনীতিতে আসছেন তিনি। হায়দরাবাদের ইন্ডিয়ান স্কুল অব বিজনেসের একটি অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “নিজের জন্য প্রচার শেষ, এখন রাজনীতির জন্য আমি প্রস্তুত।” কিন্তু কোন দলে? নীতীশের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা থাকায় স্বভাবতই রাজনৈতিক মহলে জল্পনা ছিল জেডিইউ-তে যোগ দিতে পারেন প্রশান্ত। তবে, কংগ্রেস কিংবা বিজেপিও তাঁকে দলে টানতে নানা উপহারের প্রস্তাব রাখে বলে জানা যায়।
আরও পড়ুন- টাকা দিয়ে মুখ বন্ধের চেষ্টা! ক্ষতিপূরণের চেক ফেরালেন রেওয়ারি গণধর্ষিতার মা
কে এই প্রশান্ত কিশোর?
২০১২ সালে গুজরাত নির্বাচনে তিন বারের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে প্রশান্ত কিশোরকে ‘নির্বাচনী অস্ত্র’ হিসাবে ব্যবহার করেন নরেন্দ্র মোদী। সে বার মোদীকে নির্বাচনী বৈতরণী উতরে দেন প্রশান্ত। এর পর সুযোগ চলে আসে আরও বড় মঞ্চে রাজনৈতিক স্ট্র্যাটিজি তৈরির। ২০১৪ সালে এই প্রশান্ত কিশোরের হাত ধরেই ডিজিটালে নিজেকে ব্র্যান্ড তৈরি করেন মোদী। বিজেপির অন্দরে অনেকেই স্বীকার করেন মোদী হাওয়া তোলার পিছনে মূল কারিগর ছিলেন প্রশান্ত। এর পর আর তাঁকে পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। ২০১৫ সালে বিহারে বিজেপিকে হারাতে নীতীশ-লালু জোট মডেল তৈরি করেন তিনি। সাফল্য তো মেলেই, তার সঙ্গে দেশের রাজনৈতিক সমীকরণের সংজ্ঞাও পাল্টে ফেলেন তিনি। তবে, উত্তর প্রদেশ নির্বাচনে কংগ্রেসের ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয় প্রশান্ত মডেল।