`ইন্দু মালহোতরার নিয়োগ, বিচার বিভাগে কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ`, অভিযোগ বারের
সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বিকাশ সিং বলেন, `বিচারপতি কেএম জোসেফকে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসাবে নিয়োগ না করে, শুধুমাত্র ইন্দু মালহোতরাকে নিয়োগ করার সিদ্ধান্তে আমার আপত্তি আছে।`
নিজস্ব প্রতিবেদন: ইন্দু মালহোতরাকে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি পদে নিয়োগ, আসলে বিচার বিভাগে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ। এমনটাই মনে করছে সুপ্রিম কোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশন। ইন্দু মালহোতরাই দেশের প্রথম কোনও মহিলা আইনজীবী যাঁকে বার থেকে সরাসরি সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির পদে নিয়োগ করা হয়েছে। কিন্তু, ইন্দুদেবীর নিয়োগে কেন কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের তত্ত্ব উঠে আসছে?
দেশের শীর্ষ আদালতের বিচারপতির পদে প্রবীণ আইনজীবী ইন্দু মালহোতরার নিয়োগকে 'স্বাগত' জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বিকাশ সিং। কিন্তু একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, "বিচারপতি কেএম জোসেফকে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসাবে নিয়োগ না করে, শুধুমাত্র ইন্দু মালহোতরাকে নিয়োগ করার সিদ্ধান্তে আমার আপত্তি আছে। একজনকে নিয়োগ করে ও অন্যজনকে বাদ দিয়ে, কেন্দ্র আসলে বিচার বিভাগের ক্ষমতায় হস্তক্ষেপ করল। এই বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ..."
জানা যাচ্ছে, চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম উত্তরাখণ্ড হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি কেএম জোসেফ এবং ইন্দু মালহোতরার নাম সুপারিশ করেছিল। আর এই সুপারিশের ফাইল খতিয়ে দেখে এঁদের মধ্যে থেকে কেবল মালহোতরাকেই নিয়োগ করেছে কেন্দ্র। আর তাই ইন্দু মালহোতরাকে 'প্রবীণ আইনজীবী' এবং তিনি শীর্ষ আদালতের বিচারপতি হলে 'নিজেকে অত্যন্ত যোগ্য বলে প্রমাণ করবেন' বলে মনে করলেও, তাঁর নিয়োগকে কেন্দ্রের পক্ষপাত দুষ্টতার নজির বলেই মনে করছে সুপ্রিম কোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি। কিন্তু, এভাবে দু'জনের মধ্যে শুধু একজনকে নিয়োগের ক্ষেত্রে কেন্দ্রের কী বক্তব্য? আও পড়ুন- প্রথম মহিলা আইনজীবী হিসেবে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হলেন ইন্দু মলহোত্রা
বিশেষ সূত্রের খবর, বিচারপতি জোসেফের নাম সুপারিশের ক্ষেত্রে কলেজিয়াম তাঁর অভিজ্ঞতা ও আঞ্চলিক প্রতিনিধিত্বের বিষয়গুলিতে প্রয়োজনীয় গুরুত্ব দেয়নি। কারণ, অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে তৈরি হাইকোর্টগুলির ৬৯৬ জন বিচারপতির তালিকায় ৪২তম স্থানে রয়েছেন বিচারপতি কেএম জোসেফ। আর এ কথা না কি চিঠি লিখে প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রকে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। ওই চিঠিতে ইন্দু মালহোতরাকে নিয়োগের সিদ্ধান্তের কথাও জানানো হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, দেশের প্রধান বিচারপতি ও সুপ্রিম কোর্টের চার প্রবীণতম বিচারপতিকে নিয়ে তৈরি হয় সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম। কলেজিয়ামের শীর্ষ পদে থাকেন দেশের প্রধান বিচারপতি। আর এই কলেজিয়ামের সুপারিশ অনুযায়ী কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রক বিচারপতিদের নিয়োগ চূড়ান্ত করে। বর্তমানে, দীপক মিশ্রের নেতৃত্বাধীন কলেজিয়ামে রয়েছেন, বিচারপতি জে চেল্লামেশ্বর, রঞ্জন গগৈ, মদন বি লকুর এবং কুরিয়েন জোসেফ।