নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ড্রিম প্রোজেক্টের কাজ চলছে কাশীবিশ্বনাথ ধামে। আর এরই মাঝে ঘটল এই ঘটনা। বৃহস্পতিবার, শ্রিঙ্গার গৌরি মন্দিরে খননকার্যের সময় মিলল বহু প্রাচীন মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ। জানানো হয়েছে, পরীক্ষা করা দেখা হবে এই ধ্বংসাবশেষ। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটে। এদিন কাশীবিশ্বনাথের মন্দিরের পশ্চিমদিকে খনন কার্য চালাচ্ছিলেন শ্রমিকরা। তখনই এই ধ্বংসাবশেষ মেলে। কাজ বন্ধ করে খবর দেওয়া হয় তড়িঘড়ি। ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই উত্তেজনা ছড়িয়েছে ভক্তদের মধ্যে। কবেকার এই মন্দির তা পরীক্ষা করে দেখা হবে বলেই জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। 


প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ড্রিম প্রোজেক্ট কাশী বিশ্বনাথ করিডোর। তাঁর নির্দেশেই ঢেলে সাজানো হচ্ছে কাশী বিশ্বনাথ ধাম। কাজ শেষ হলে ভক্তরা গঙ্গা স্নানের পর সরাসরি বাবা বিশ্বনাথের দরবারে প্রবেশ করতে পারবেন।


ইতিমধ্যেই তীর্থযাত্রীদের জন্য খাওয়ার জায়গা, হস্তশিল্প ও স্যুভেনির শ্যাপ, গ্যালারী, মিউজিয়াম, খাবারের দোকান ছাড়াও ধর্মীয় বইয়ের স্টল তৈরি করার কাজ শুরু হয়েছে। জানা গিয়েছে, নির্মাণ করা হবে একটি গ্যালারিও। যেখানে কাশীর ঐতিহ্য ও আধ্যাত্মিকতা প্রদর্শনী করা হবে বলে জানা গিয়েছে। সব মিলিয়ে নতুন করে সেজে উঠবে কাশী বিশ্বনাথের থাম।


পুরাণের কাশীখণ্ডে কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের উল্লেখ পাওয়া যায়। একাদশ শতাব্দীতে হরি চন্দ্র মন্দিরটি পুনর্নির্মাণ করেছিলেন বলে জানা যায়। ১১৯৪ সালে মহম্মদ ঘোরি বারাণসীর অন্যান্য মন্দিরগুলির সঙ্গে এই মন্দিরটিও ধ্বংস করে দেন বলে শোনা যায়। এরপরেই আবার মন্দিরটি পুনরায় তৈরি করা হয়। এরপর কুতুবুদ্দিন আইবক মন্দিরটি ধ্বংস করেন। আইবকের মৃত্যুর পর ফের মন্দিরটি তৈরি হয়।


 এরপরেও একাধিকবার মন্দির পুনর্নিমাণ হয়েছে। ১৬৬৯ সালে ঔরঙ্গজেব পুনরায় মন্দিরটি ধ্বংস করে জ্ঞানবাপী মসজিদ তৈরি করান। এই মসজিদটি আজও মন্দিরের পাশে অবস্থিত। মসজিদের পিছনে পুরনো মন্দিরের কিছু ধ্বংসাবশেষ মিলেছে বলেই মনে করা হচ্ছে।