নিজস্ব প্রতিবেদন: ভারতের রেললাইনে ঝড় তুলছে ট্রেন-১৮। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্বপ্নের 'মেক ইন ইন্ডিয়া' প্রকল্পে সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এই ট্রেনের পরীক্ষামূলক দৌড় চলছে। দেশের প্রথম সেমি হাইস্পিড ট্রেন ইতিমধ্যেই সাধারণ মানুষের মধ্যে তৈরি হয়েছে উত্সাহ। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সপ্তাহখানেক আগে ঘণ্টায় ১৮০ কিলোমিটার গতি তুলেছিল এই ইঞ্জিনবিহীন ট্রেন। তখন ট্রেনের ভিতরের ভিডিও টুইটারে দিয়েছিলেন রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। এবার রাজস্থানে মরুঝড় তুলল ট্রেন-১৮। একেবারে আন্তর্জাতিকমানের মনে হচ্ছে দেশীয় প্রযুক্তির এই ট্রেনকে। ভারতীয় রেলের ইতিহাসে নয়া দিগন্ত খুলে দিতে চলেছে ট্রেন-১৮। আরও একটি পরীক্ষামূলক দৌড়ের ভিডিও টুইট করেন রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। দাবি করেন, রাজস্থানে ঘণ্টায় ১৮০ কিলোমিটারের বেশি বেগে দৌড়চ্ছে পারে ট্রেন-১৮। 



চেন্নাইয়ের ইন্টিগ্রাল কোচ কারখানায় তৈরি হয়েছে ট্রেন-১৮। খরচ পড়েছে প্রায় ১০০ কোটি টাকা। শতাব্দী এক্সপ্রেসের থেকে খরচ আরও ২০ কোটি টাকা বেশি। তবে আইসিএফের জেনারেল ম্যানেজার সুধাংশু মনির দাবি, বিদেশ থেকে আমদানি করা ট্রেনের চেয়ে অর্ধেক খরচ হয়েছে। এর পাশাপাশি এমন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে, যার জেরে ট্রেনের ব্যবহারিক খরচ অত্যন্ত কম। 


আরও পড়ুন- বাস্তবে 2.0, 5G পরীক্ষায় নেদারল্যান্ডসে প্রাণ গেল একের পর এক পাখির


এর আগে মোরাদাবাদ-বরেলি রুটে পরীক্ষামূলক দৌড়ে সফল হয় ট্রেন-১৮। গত ২৯ অক্টোবর চেন্নাইয়ে প্রথমবার চালানো হয় ট্রেন ১৮। ট্রেনটি ধীর গতিতে চালানোর সময় কিছু যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়েছিল। রেলমন্ত্রক অবশ্য জানিয়েছে, পরীক্ষামূলক দৌড়ের সময় খুঁটিনাটি কিছু সমস্যা থাকেই। মেক ইন্ডিয়া কর্মসূচির আওতায় চেন্নাইয়ে রেলের কারখানায় সম্পূর্ণ ভারতীয় প্রযুক্তিতে তৈরি হয়েছে ট্রেন-১৮। মাত্র ১৮ মাসের মধ্যেই তৈরি হয়েছে এই ট্রেন। রেলওয়ে সূত্রে খবর, আগামী ফেব্রুয়ারিতেই পাকাপাকিভাবে পরিষেবা শুরু করবে ট্রেন ১৯।


তিন দশক ধরে পরিষেবা দেওয়া দিল্লি-ভোপাল শতাব্দী এক্সপ্রেসের পরিবর্তে আনা হচ্ছে ‘ট্রেন ১৮’। বাড়তি কী সুবিধা থাকছে ইঞ্জিন বিহীন ট্রেনটির? ‘সেল্ফ প্রপলেড ইঞ্জিনলেস’ ট্রেনটি শতাব্দী এক্সপ্রেসের থেকে ১৫ শতাংশ কম সময়ে গন্তব্যস্থলে পৌঁছবে। এমনকি ব্রেক কষার ক্ষেত্রে ৩০ শতাংশ বিদ্যুত খরচ কম করবে ট্রেনটি। মোট ১৬টি কামরার ১১২৮টি আসন রয়েছে। এখন সবকটি ‘চেয়ার কার’। পরবর্তীকালে বেশ কিছু কামরা স্লিপার ক্লাসে রূপান্তরিত করা হবে। জানা যাচ্ছে রাজধানী এক্সপ্রেসে পরিবর্তে এমনই ‘ইন্টারসিটি ইলেক্ট্রিক মাল্টিপল ইউনিট’ ট্রেন আনা হবে।


আরও পড়়ুন- প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন না কেন? পাশ কাটালেন অমিত