নিজস্ব প্রতিবেদন : সুপ্রিমো কোর্টের রায়ে চাকরি হারানোর আশঙ্কায় ভুগছেন দেশের হাজার হাজার ইঞ্জিনিয়ার। শুক্রবার এক রায়ে AICTE অনুমোদিত নয় এমন পাঠ্যক্রমের মাধ্যমে দূরশিক্ষায় ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করা ছাত্রদের ডিগ্রি বাতিল বলে ঘোষণা করেছে সর্বোচ্চ আদালত। ২০০১ সাল থেকে দূরশিক্ষার মাধ্যমে যাঁরা ইঞ্জিনিয়ার হয়েছেন বাতিল হবে তাদের ডিগ্রি। এই মামলায় কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ বিকাশ মন্ত্রকের ভূমিকার চরম সমালোচনা করেছেন বিচারপতিরা।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সম্প্রতি ইউজিসি ও এআইসিটিই-র তরফে থেকে জানানো হয়েছে, দূরশিক্ষা পর্ষদের পক্ষ থেকে ২০০১ থেকে ইঞ্জিনিয়ারিয়ে ছাত্রছাত্রীদের যে সার্টিফিকেট প্রদান করেছে তা বৈধ নয়। বলা হয়েছে দূরশিক্ষার মাধ্যমে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সুযোগ এখনও ভারতে অনুমোদিত নয়। সেই সঙ্গে গোটা প্রক্রিয়াই বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। তাদের সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে পর্ষদ ও ছাত্রছাত্রীদের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়। শুক্রবার ছিল সেই মামলার শুনানি।   


কী বলল সুপ্রিম কোর্ট?


বিচারপতি এ কে গোয়েল ও ইউ ইউ ললিতের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, বেশ কিছু ডিমড বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবসায়িক স্বার্থে এই ধরনের কোর্স চালু করেছে। কিন্তু এই কোর্সগুলি ইউজিসি ও এআইসিটিই দ্বারা অনুমোদিত নয়। দেশের চারটি প্রথম সারির ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়ে (জেআরএন রাজস্থান বিদ্যাপীঠ, ইনস্টিটিউট অফ অ্যাডভান্স স্টাডিজ ইন এডুকেশন ইন রাজস্থান, এলাহাবাদ এগ্রিকালচারাল ইনস্টিটিউট ও ভিনায়ক মিশন রিসার্চ ফাউন্ডেশন) এই কোর্স করানো হচ্ছে বলে আদালতের তরফে জানানো হয়। ২০০১ সাল থেকে এই কোর্সগুলি করে ইঞ্জিনিয়ার হওয়া ছাত্রদের সার্টিফিকেট অবৈধ বলে ঘোষণা করেছে সুপ্রিম কোর্ট।


আদালতের এই রায়ে বিপাকে পড়তে চলেছেন কয়েক হাজার ইঞ্জিনিয়ার। ইতিমধ্যেই তাদের অনেকেই চাকরি করছেন। ফলে, সেই চাকরির ভবিষ্যত্ নিয়েও এবার প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ওদিকে কী করে বছরের পর বছর বেআইনি কোর্স চালু থাকল তা নিয়ে ইউজিসি ও কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ বিকাশ মন্ত্রককে চরম ভর্ত্লনা করেছে সুপ্রিম কোর্ট।


আরও পড়ুন- লিঙ্গ সাম্যতায় আরও পিছল ভারত, উন্নতি বাংলাদেশের