নিজস্ব প্রতিবেদন : সম্প্রতি প্রকাশিত একটি সমীক্ষার রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ২০১৭-১৮ বর্ষে দেশে বেকারত্বের হার ছিল ৬.১ শতাংশ। যা গত ৪৫ বছরে সর্বোচ্চ। আর তারই প্রমাণ মিলল আরও একবার। এক আশ্চর্য ঘটনার সাক্ষী রইল তামিলনাড়ু। সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত একটি খবর অনুযায়ী তামিলনাড়ুর বিধানসভায় ঝাড়ুদারের শূন্যপদের জন্য আবেদন করেছেন ৪,৬০৭ জন প্রার্থী। যাঁদের ডিগ্রির তালিকা দেখলে চোখ রীতিমতো কপালে উঠবে। কেউই নিছক স্কুল পাশ নন।  তাঁদের বেশিরভাগই এমবিএ, বি টেক ও এম টেক ডিগ্রিধারী। ২০১৮-র সেপ্টেম্বর মাসে রাজ্য বিধানসভায় ঝাড়ুদারের ১০টি শূন্যপদের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। এরপরই একে একে আসতে থাকে আবেদন। বলার অপেক্ষা রাখে না, আবেদনকারীদের তালিকা দেখে কার্যত অবাক হয়েছেন কর্তৃপক্ষও।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-  রাফালে নিয়ে PMO-র নাক গলানোর অভিযোগ খারিজ প্রতিরক্ষামন্ত্রীর


গ্যাঁটের কড়ি খরচ করে, পড়াশোনা করে ডিগ্রি তো পাওয়া গেছে, তবে যোগ্য কর্মসংস্থানের আশায় কার্যত হন্যে হয়েই খুড়ছেন দেশের শিক্ষিত বেকাররা, যার প্রমান এই ঘটনা। চলতি বছর যদিও কেন্দ্রীয় সরকারের বাজেটে জানানো হয়েছিল বিগত বছরগুলির তুলনায় কর্মসংস্থান বেড়েছে অনেকাংশ। অথচ এই ভয়াভয় তথ্যে কপালে ভাঁজ ফেলছে অনেকেরই। স্বাভাবিকভাবেই এই নিয়োগকে কেন্দ্র করে সমালোচনায় মুখর হয়েছে বিরোধীরা৷ তোপ দাগছেন ক্রমাগত। শুধু তামিলনাড়ুতেই নয়, একাধিক ক্ষেত্রেই ঘটেছে এমন ঘটনা। উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্রের মতো একাধিক রাজ্যের ছবিটাও অনেকাংশে একই। ওয়েটারের পদে স্নাতক, চতুর্থ শ্রেণীর কর্মী হিসাবে পিএইচডি-র প্রার্থীর মতো একাধিক বেনজির ঘটনার সাক্ষী তারাও। বলার অপেক্ষা রাখে না এই ঘটনায় চিন্তিত শিক্ষিত মহল।