নিজস্ব প্রতিবেদন: উত্তর প্রদেশের টোটো চালকদের জন্য অত্যাধুনিক ব্যাটারি আনতে চলেছে এসেল গ্রুপ। রবিবার উত্তর প্রদেশের রাজধানী লখনউতে এক বাণিজ্য সম্মেলনে উদ্যম এসেল ইনফ্রাপ্রপাটিজের এই পরিকল্পনার কথা জানান সংস্থার কর্ণধার তথা রাজ্যসভার সাংসদ ডক্টর সুভাষ চন্দ্র। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এই প্রকল্পের অধীনে উত্তর প্রদেশের ২০টি শহরে ২৫০টি চার্জিং স্টেশন বানাবে এসেল গ্রুপ। তৈরি হবে ১,০০০ ব্যাটারি সুইপিং স্টেশন। ফলে টোটো না কিনেই টোটো চালিয়ে উপার্জন করতে পারবেন যুবারা। কিছুদিন পর সেই টোটো হয়ে যাবে তাঁদেরই। 


এদিনের অনুষ্ঠানে ডক্টর সুভাষ চন্দ্র বলেন, বর্তমানে দেশে প্রায় ৬ লক্ষ ই-রিকশ চলছে। এই ই-রিকশগুলির ব্যাটারি সিসা দিয়ে তৈরি। পুরনো প্রযুক্তির এই ব্যাটারি চার্জ হতে ১০ ঘণ্টা সময় লাগে। এর ফলে একজন টোটোচালক দৈনিক ৪০০ টাকার বেশি আয় করতে পারেন না। এর বদলে লিথিয়াম পলিমার ব্যাটারি ব্যবহার করলে মাত্র ১ ঘণ্টাতেই সেই ব্যাটারি। তাছাড়া ব্যাটারি সোয়াইপিং স্টেশনে আগে থেকে চার্জ দেওয়া ব্যাটারি লাগিয়ে নিলে মাত্র ৪ মিনিটেই ফুল চার্জ হয়ে যাবে ই-রিকশ। এর ফলে দ্বিগুণ আয় করতে পারবেন ই-রিকশ চালকরা। এজন্য ১,৭৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে এসেল গ্রুপ। এই প্রকল্পে উত্তর প্রদেশে ৫০,০০০ বেকার যুবকের কর্মসংস্থান হবে।


ডক্টর সুভাষ চন্দ্র বলেন, '২০১৬ সালে আমি প্রধানমন্ত্রীকে কথা দিয়েছিলাম আমরা নতুন ব্যবসা শুরু করব। এই ব্যবসা হবে সমাজের স্বার্থে,  দেশের স্বার্থে ও পরিবেশের স্বার্থে। তাছাড়া কর্মসংস্থানেও থাকবে লক্ষ্যে। এসেল গ্রুপ সেই লক্ষ্যেই কাজ করছে।'


ডক্টর সুভাষ চন্দ্র জানিয়েছেন, উত্তর প্রদেশে মোট ২২৫০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে তাঁর সংস্থা। সময়ের সঙ্গে বাড়ানো হবে বিনিয়োগের অংক। ৫ বছরে ৯ লক্ষ কর্মসংস্থার তৈরির লক্ষ্যে এসেল গ্রুপ এগোচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে সংখ্যাটা ১০ লক্ষ ছুঁতে পারে বলেও জানিয়েছেন তিনি। এজন্য ২৫,০০০ ই-রিকস্ রাস্তায় নামাবে এসেল গ্রুপ। ৫ বছর পর সেই রিকশগুলি চালকের নামে হস্তান্তরিত হবে। 


এদিন উত্তর প্রদেশ সরকারের আকুণ্ঠ প্রশংসা করেন ডক্টর সুভাষ চন্দ্র। বলেন, অত্যন্ত সততার সঙ্গে কাজ করছে যোগী সরকার। 


সাক্ষাত্ মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসা! রায়গড়ে একমাত্র জীবিতের মুখে হাড়হিম করা অভিজ্ঞতা


এসেল গ্রুপের তরফে জানানো হয়েছে, প্রথমে গাজিয়াবাদে শুরু হবে এই প্রকল্প। ধীরে ধীরে তা উত্তর প্রদেশের অন্যান্য শহরে ছড়িয়ে দেওয়া হবে। এই প্রকল্পের ফলে দেশের ই-রিকশ চালানোর ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন আসবে বলে দাবি তাদের।