ওয়েব ডেস্ক: কাঁটা দিয়ে কাঁটা তুলতে হবে। জঙ্গিদের অস্ত্রে জঙ্গিদের ঘায়েল করার সময় এসেছে। কূপওয়ারায় হামলার পর এমনই প্রতিক্রিয়া দেশের প্রাক্তন সেনাপ্রধানের। কাশ্মীরে জঙ্গিরা যেভাবে নিরাপত্তাবাহিনীকে টার্গেট করছে তানিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। কাশ্মীর নিয়ে কেন্দ্রীয় নীতি পরিবর্তনের দাবি তুলেছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


অশান্ত উপত্যকা। কখনও অনুপ্রবেশ, কখনও জঙ্গি হামলা। কখনও স্থানীয় মানুষকে উস্কানি দিয়ে অশান্তি তৈরির চেষ্টা। কাশ্মীরে অস্থিরতা তৈরি করতে নিত্য নতুন স্ট্র্যাটেজি পাকিস্তানের। তবে ইদানিং, কাশ্মীরে নিরাপত্তাবাহিনীকেই বার বার টার্গেট করছে পাক জঙ্গিরা।


 


  • ২৯ নভেম্বর, ২০১৭- নাগরোটায় ১৬ নম্বর কর্পস হেডকোয়ার্টারে হামলা। ২ অফিসার সহ শহিদ ৭ সেনা।

  • ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৬- উরির সেনা ক্যাম্পে হামলা। শহিদ ১৭ সেনা জওয়ান।

  • ২৫ জুন, ২০১৬- পাম্পোরে সিআরপিএফ কনভয়ে হামলা। শহিদ ৮ জওয়ান।

  • ১ জানুয়ারি, ২০১৬- পাঠানকোট এয়ারবেস হামলা। শহিদ ৩ নিরাপত্তাকর্মী।


 


উরি হামলার জবাবে সার্জিকাল স্ট্রাইক চালায় ভারত। দিল্লির কড়া জবাবে পাকিস্তান চাপে পড়লেও উপত্যকায় হামলা থামেনি। এবার হামলা কূপওয়ারার সেনাছাউনিতে। ভারতের প্রাক্তন সেনাপ্রধান জেনারেল শঙ্কর রায়চৌধুরীর মতে, এখন কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলার সময় এসেছে। তবে বহু বিশেষজ্ঞই নিরাপত্তায় গাফিলতির অভিযোগে সরব হয়েছেন। সেনা অবশ্য সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। যদি বিশেষজ্ঞদের সিংহভাগই কাশ্মীর ইস্যুতে আরও কড়া অবস্থানের পক্ষপাতী।



সেনা ছাউনিতে জঙ্গি হামলার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে কূপওয়ারার উত্তেজিত জনতার নিশানায় নিরাপত্তাবাহিনী। জওয়ানদের লক্ষ্য করে লাগাতার ইটবৃষ্টি চলে।  সেনাক্যাম্পের কাছে একদল বিক্ষোভকারী জঙ্গিদের দেহ ফেরতে দাবিতে বিক্ষোভ দেখায়। তুমুল গোলমালের মাঝে সেনার গুলিতে এক বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হয়েছে। গত কয়েকমাস ধরে কাশ্মীর পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমসিম খাচ্ছে প্রশাসন। তবে কি এবার আরও কড়া অবস্থানের পথে কেন্দ্র। (আরও পড়ুন- বাতিল হওয়া নোটের ভবিষ্যত্‍ বাতলাতে পারলে লাখ টাকা পুরস্কার)