নিজস্ব প্রতিবেদন : সুষমা স্বরাজের পর এবার অরুণ জেটলি। জাতীয় রাজনীতিতে একের পর এক নক্ষত্রপতন। শনিবার দুপুর বারোটা বেজে সাত মিনিট নাগাদ চলে গেলেন দেশের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। গত ৯ অগাস্ট প্রবল শ্বাসকষ্ট নিয়ে রাজধানীর এইমস-এ ভর্তি হয়েছিলেন অরুণ জেটলি। তার পর থেকেই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। চিকিত্সার দায়িত্বে থাকা ডাক্তারদের দল প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীকে ভেন্টিলেশনে স্থানান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিন্তু বিপদ এড়ানো গেল না। ৬৬ বছর বয়সে চলে গেলেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-  সংখ্যাগুরু হিন্দুদের মর্জিমাফিক চলবে ভারত, হুঙ্কার মহারাষ্ট্র বিজেপি প্রধানের



২০ অগাস্ট থেকেই তাঁকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল। প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী এইমস-এ ভর্তি হওয়ার পরদিন থেকেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁর মেডিকেল বুলেটিন দেওয়া বন্ধ করা দিয়েছিল। গতকাল এইমস সূত্রে জানা যায়, অরুণ জেটলির শারীরিক অবস্থার চূড়ান্ত অবনতি হওয়া শুরু হয়েছিল। জেটলি হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরই তাঁকে দেখতে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এছাড়াও স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন ও লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা, প্রবীণ বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আডবাণীসহ একাধিক শীর্ষস্থানীয় নেতা তাঁকে দেখতে গিয়েছিলেন। রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, স্মৃতি ইরানি থেকে শুরু করে কংগ্রেস নেতা অভিষেক সিংভি, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াও এইমস-এ জেটলির খোঁজ নিতে গিয়েছিলেন।


আরও পড়ুন-  অসমের জোরহাটে বিদেশি বলে ঘোষণা বিএসএফ অফিসারকে, গ্রেফতারের নির্দেশ ট্রাইবুন্যালের


প্রসঙ্গত, গত বছর তাঁর কিডনি প্রতিস্থাপন হয়েছিল। তার পর চলতি বছর ক্যান্সারও ধরা পড়ে। শারীরিক অবস্থার প্রবল অবনতি হওয়ায় ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে রাজি হননি অরুণ জেটলি। অসুস্থতার জেরে মোদীর মন্ত্রীসভায় মন্ত্রকের দায়িত্ব নিতেও চাননি তিনি। উল্লেখ্য, মোদী-১ ক্যাবিনেটে তিনি অর্থমন্ত্রী থাকার সময়ই জিএসটি ও নোটবন্দির মতো বলিষ্ঠ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।