নিজস্ব প্রতিবেদন : মিথ্যা বলছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তোপ দাগলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। এক বিবৃতি জারি করে মনমোহন সিং বলেছেন, "নিজেকে ঢাকতে মিথ্যে বলছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর উচিত নিচের শব্দচয়ন নিয়ে সতর্ক হওয়া। চিনের অবস্থান নিয়ে কোনও বিভ্রান্তি ছড়ানো প্রধানমন্ত্রীর উচিত নয়।"


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


প্রসঙ্গত, শুক্রবার সর্বদল বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, "ভারতীয় ভূ-খণ্ডে কোনও চিনের আগ্রাসন হয়নি। দেশের সীমান্ত কেউ লঙ্ঘন করতে পারেনি। কোনও পোস্টও দখল করেনি চিন। হ্যাঁ, আমাদের ২০ জন জওয়ান শহিদ হয়েছেন। কিন্তু ভারতমাতার দিকে যাঁরা চোখ তুলে তাকানোর সাহস করেছিল, তাদের উচিত শিক্ষা দেওয়া হয়েছে।"


একইসঙ্গে মোদী আরও বলেন, "ভারত শান্তি ও বন্ধুত্ব চায়। কিন্তু তা কখনওই ভারতের সার্বভৌমত্বকে ক্ষুণ্ণ করে নয়।" সর্বদল বৈঠকের শেষে প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট জানান, "ভারত কখনও বাইরের শক্তির চাপের কাছে মাথা নত করেনি। আর করবেও না। দেশের সুরক্ষায় যা যা প্রয়োজন, সব করা হবে।" একইসঙ্গে জানান, "পরিস্থিতি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য ভারতীয় সেনাকে পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া আছে। তাৎক্ষণিক জবাব দিতে তৈরি সেনা।"


চিনের আগ্রাসন প্রসঙ্গে মোদীর মন্তব্যের পরই তা নিয়ে শুরু হয়ে যায় বিতর্ক। প্রশ্ন ওঠে, কেউ যদি সীমান্ত পেরিয়ে না-ই এসে থাকে, তবে ২০ জন ভারতীয় জওয়ানের মৃত্যু হল কীভাবে? প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য নিয়ে বিতর্ক শুরু হতেই তার ব্যাখ্যা দেয় প্রধানমন্ত্রীর দফতর। এক বিবৃতি জারি করে জানানো হয়, অসৎ উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের অপব্যাখ্যা করার চেষ্টা করা হচ্ছে।


প্রধানমন্ত্রীর দফতর জানিয়েছে, "১৫ জুন সর্বদল বৈঠকে গালওয়ানে ২০ জন জওয়ানের মৃত্যু নিয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় আমাদের ভূখণ্ডে চিনের কোনও অস্তিত্ব নেই। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় লঙ্ঘন নিয়ে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, গত ১৫ জুন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর পরিকাঠামো তৈরির চেষ্টা করছিল চিন। তারা বারণ শোনেনি। ১৬ বিহার রেজিমেন্ট সেই চেষ্টা ব্যর্থ করে। নিয়ন্ত্রণরেখায় লঙ্ঘনের চেষ্টাও সফল হয়নি ওইদিন।"


আরও পড়ুন, মোদীর হুঁশিয়ারি মুছে দিল চিনা সোশ্যাল মিডিয়া, ডিলিট বিদেশমন্ত্রকের বার্তাও