২২ তারিখ ফাঁসি নিয়ে সংশয়, আইনের গেরোয় বদল হতে পারে ৪ আসামীর মৃত্যুদণ্ডের তারিখ
দোষী সাব্যস্ত ওই ৪ জনের ফাঁসির পরোয়ানা জারি করেছিল দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্ট
নিজস্ব প্রতিবেদন: আগামী ২২ জানুয়ারি নির্ভয়াকাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত ৪ আসামীর ফাঁসি নিয়ে তৈরি হল সংশয়। এমনটাই মনে করা হচ্ছে দিল্লি হাইকোর্টে করা মুকেশ সিংয়ের করা মামলার শুনানি থেকে।
আরও পড়ুন-তিন বছর ধরে জঙ্গিদের সাহায্য করছিলেন ডিএসপি দেবিন্দর, এনআইএর জেরায় বেরিয়ে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য
দোষী সাব্যস্ত ওই ৪ জনের ফাঁসির পরোয়ানা জারি করেছিল দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্ট। বলা হয়েছিল ফাঁসি হবে ২২ জানুয়ারি সকাল সাতটায়। সেই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে মুকেশ সিং ও বিনয় শর্মা। সেই আবেদন খারিজ করে দেন শীর্ষ আদালত। তার পরেই রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করে মুকেশ সিং। পাশাপাশি পাতিয়ালা হাউস কোর্টের পরোয়ানাকে চ্যালেঞ্জ করেও মামলা করা হয়। সেই মামলার শুনানি চলছে।
এদিকে দোষী সাব্যস্তদের আইনজীবী কে পি সিং আগেই জানিয়েছিলেন, একসঙ্গে ৪ দোষী সাব্যস্তের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণ ভিক্ষার আবেদন করা হবে না। সেইমতো এখনও প্রর্যন্ত প্রাণ ভিক্ষার আবেদন করেছে কেবলমাত্র মুকেশ সিং। বাকি এখনও তিন জন। প্রসঙ্গত, প্রাণভিক্ষার আবেদন খারিজ হয়ে গেলে ফাঁসির জন্য আরও ১৪ দিন সময় দিতে হয় আসামীকে। এখানেই জটিলতা তৈরি হয়েছে।
আরও পড়ুন-কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা রোগীর
দোষী সাব্যস্তরা রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন সরাসরি করতে পারে না। তাদের আবেদন করতে হবে দিল্লি সরকারের স্বরাষ্ট্র দফতরে। দিল্লি সরকার সেই আবেদন পাঠাবে দিল্লির লেফটেন্যান্ট জেনারেলের কাছে। সেখান থেকে তা যাবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে । তারপর সেটি যাবে রাষ্ট্রপতির কাছে। এখন গোটা প্রক্রিয়াটি যদি আজকের মধ্যেই শেষ হয়ে য়ায় এবং আজই যদি রাষ্ট্রপতি ওই প্রাণভিক্ষার আবেদন খারিজ করে দেন তাহলেও তার পর থেকে আসামীদের ১৪ দিন সময় দিতে হবে। সেক্ষেত্রে ফাঁসি হবে ২৯ জানুয়ারি। অর্থাত্ ২২ জানুয়ারি ফাঁসি দেওয়া কোনও ভাবেই সম্ভব হবে না। এমনটাই মনে করছে আইনজীবীদের একাংশ।