বিহারে বন্যায় ভেসে আসা মৃত শিশুর ছবি ভুয়ো, জানা গেল তথ্য যাচাই করে
ছবিটি শেযার করে আরজেডি নিশানা করে রাজ্য সরকারকে
নিজস্ব প্রতিবেদন: সমুদ্র সৈকতে মুখ থুবড়ে পড়ে রয়েছে একটি ছোট্ট শিশু। সিরিয়ার ওই ছোট্ট শিশুর ছবি কাঁপিয়ে দিয়েছিল দুনিয়াকে। প্রায় একই রকম একটি ছবি সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
আরও পড়ুন-ফের অশান্ত কাঁকিনাড়া, বোমাবাজিতে মৃত১, গ্রেফতার ৫
একটি মৃত শিশুর ছবি দেখিয়ে বলা হচ্ছে, মুজাফফরপুরের ওই শিশুটির মৃত্যু হয়েছে বিহারের বন্যায়। ছবিটি শেযার করে আরজেডি নিশানা করেছে রাজ্। সরকারকে। এনিয়ে হইচই পড়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। কিন্তু বিভিন্ন সূত্র থেকে ছবিটির ব্যাপারে খোঁজ করে দেখা যাচ্ছে শিশুটির মৃত্যু বন্যায় হয়নি। বরং তার মৃত্যুর পেছনে রয়েছে অন্য ঘটনা। তাঁকে নদীতে ভাসিয়ে দিয়েছিল তার মা।
নদীর চরে পড়ে থাকা ওই শিশুটির একটি ভিডিও দিয়ে ট্যুইটারে একজন লেখেন, ‘মনে করুন সিরিয়ার এক উদ্বাস্তু শিশুর মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে কীভাবে দুনিয়ায় আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছিল। মিথিলায় ভয়ঙ্কর বন্যায় এই শিশুটির মৃত্যু জন্যে কেউ চোখের জল ফেলার নেই। এমনকি এনিয়ে কোনও হেলদোল নেই সরকারেরও।’
অন্যদিকে, ওই ছবি ট্যুইট করে রাষ্ট্রীয় জনতা দলও। সেখানে লেখা হয়, ‘এই ছবি দেখে বাকরুদ্ধ! কিন্তু এরপরও গোটা বিহার মন্ত্রিসভা গতকাল একটি মাল্টিপ্লেক্সে খাওয়াদাওয়া ও সিনেমা দেখেছে। তাদের বক্তব্য, রাজ্যে বন্যা হচ্ছে বলে খাওয়াদাওয়া ছেড়ে দেব?’ অন্য একটি ট্যুইটে লেখা হয়েছে, ‘দেখুন, বিহার বন্যার মর্মান্তিক দৃশ্য।’
আরও পড়ুন-কর্ণাটকে আজ আস্থাভোট, কুমারস্বামীকে চাপে রাখতে বিধানসভায় রাতভর ধরনায় বিজেপি বিধায়করা
এদিকে, মুজাফফরপুরের বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে ঘটনাটি ঘটেছে মুজাফফরপুরেই। তবে এর সঙ্গে বন্যার কোনও সম্পর্ক নেই। জেলা জনসংযোগ আধিকারিকের দফতর থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে মিনাপুর গ্রামে। সেখানে মীনা দেবী নামে এক মহিলা স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করে বাগমতী নদীতে তাঁর ৪ সন্তানকে ভাসিয়ে দেন। এলাকার মানুষজন তাঁর সাত বছরের এক সন্তানকে বাঁচাতে পরলেও ওই শিশুটিকে বাঁচাতে পারেননি। সেই শিশুটির ছবি ভাইরাল হয় নেট দুনিয়ায়।