নিজস্ব প্রতিবেদন: নিখরচায় লেনদেনের সর্বোচ্চ সীমা না বাড়িয়ে এর নিয়ম-কানুনে বেশ কিছু পরিবর্তন আনল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। এর ফলে কিছুটা হলেও উপকৃত হবেন গ্রাহকরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বর্তমানে নিজের ও অন্য ব্যাঙ্ক মিলিয়ে মাসে ৮টির বেশি লেনদেন করলেই তার জন্য আলাদা চার্জ নেয় ব্যাঙ্কগুলি। এর মধ্যে নিজের ব্যাঙ্ক থেকে মাসে সর্বোচ্চ ৫টি ও অন্য ব্যাঙ্ক থেকে মাসে সর্বোচ্চ ৩টি লেনদেন নিখরচায় করতে পারেন গ্রাহকরা। তবে মুশকিল হল, অনেক সময়েই এটিএমে টাকা তোলার জন্য বোতাম টিপলেও টাকা বেরোয় না। এ ক্ষেত্রে কখনও যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে, কখনও আবার এটিএমে টাকা না-থাকায় এমনটা হয়। তবে এ ক্ষেত্রে গ্রাহকের প্রয়োজন না মিটলেও টাকা তোলার এই চেষ্টাকেই নিখরচায় লেনদেনের (ফ্রি ট্রানজ্যাকশন) তালিকাভূক্ত করে নেয় ব্যাঙ্কগুলি। ফলে ব্যাঙ্ক বা এটিএমের ত্রুটির কারণে ফ্রি ট্রানজ্যাকশন অনেক সুযোগ হাতছাড়া হয়ে যায় গ্রাহকের। এ বার এই নিয়মের ক্ষেত্রেই বেশ কিছু পরিবর্তন আনল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। আসুন জেনে নেওয়া যাক নিয়মে কী কী পরিবর্তন হল...


যেমন, যান্ত্রিক ত্রুটি বা এটিএমে টাকা না-থাকার কারণে লেনদেন অসম্পূর্ণ বা বাতিল হলে তাকে আর নিখরচায় লেনদেনের (ফ্রি ট্রানজ্যাকশন) তালিকাভূক্ত করতে পারবে না ব্যাঙ্ক। কারণ, এই লেনদেনকে বৈধ ‘এটিএম ট্র্যানজাকশন’ হিসেবে ধরা হবে না।


এতদিন পর্যন্ত ‘ব্যালান্স এনকোয়ারি’ বা অ্যাকাউন্টের ব্যালান্স যাচাইকেও নিখরচায় লেনদেনের (ফ্রি ট্রানজ্যাকশন) তালিকাভূক্ত করা হত। কিন্তু এখন থেকে মাসে যতবার খুশি অ্যাকাউন্টের ব্যালান্স যাচাই করতে পারবেন গ্রাহকরা। তার জন্য আলাদা কোনও ‘ট্রানজ্যাকশন ফি’ দিতে হবে না।


আরও পড়ুন: সেনা, নৌ-সেনা, বায়ু সেনা! তিন বাহিনীর স্যালুট করার ধরণ তিন রকম, কেন জানেন?


এটিএম থেকে চেক বইয়ের আবেদন জানালেও আগে সেটিকে লেনদেন হিসাবে গন্য করা হত। এখন এর জন্য আর কোনও ‘ট্রানজ্যাকশন ফি’ দিতে হবে না।


এটিএম থেকে কর প্রদান করলে আগে সেটিকে লেনদেন হিসাবে গন্য করা হত। এখন এর জন্য আর কোনও ‘ট্রানজ্যাকশন ফি’ দিতে হবে না।


এটিএম থেকে অন্য ব্যাঙ্কে টাকা পাঠানো বা ‘ফান্ড ট্রান্সফার’কেও আগে লেনদেন হিসাবে গন্য করা হত। এখন এর জন্যেও আর কোনও ‘ট্রানজ্যাকশন ফি’ দিতে হবে না।


অর্থাৎ, এটিএম থেকে টাকা তোলা ছাড়া আর কোনও কিছুকেই বৈধ লেনদেন বা ‘চার্জেবল ট্রানজ্যাকশন’ হিসাবে ধরা হবে না।