নিজস্ব প্রতিবেদন: কৃষি বিলের বিরুদ্ধে উত্তাল হয়েছিল সংসদ। রাজ্যসভায় এনিয়ে বিক্ষোভ করায় সাসপেন্ড হয়েছে ৮ বিরোধী সাংসদকে। পাল্টা বিরোধীরাও রাজ্যসভার অধিবেশন বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পাশাপাশি দেশের ১৮ বিরোধী দল রাষ্ট্রপতিকে চিঠি লিখে ওই বিলে সাক্ষর না করার অনুরোধ করেছে। তবে বিরোধিতার সঙ্গে আইনি পথেও হাঁটবে কেরল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও  পড়ুন-আল কায়দা যোগে ধৃত আবু সুফিয়ানের বাড়িতে এবার মিলল অস্ত্র কারখানার হদিশ


সংসদের দুই কক্ষ পাস হয়ে যাওয়া ওই বিলকে সুপ্রিম কোর্ট চ্যালেঞ্জ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পিনারাই বিজয়ন সরকার। কেরল সরকারের দাবি, ১৯৫৫ সালের আইন সংশোধন করে যা করা হয়েছে তা কৃষকদের স্বার্থ বিরোধী। পাশাপাশি ওই বিল রাজ্যের ক্ষমতাও খর্ব করবে। রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী ভি এস সুশীল কুমার সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, কৃষিকাজ, কৃষিবিদ্যা,গবেষণা, কৃষি ফসল রক্ষা রাজ্যের অধিকারের মধ্যে পড়ে। কেন্দ্র এনিয়ে রাজ্যগুলির সঙ্গে কোনও আলোচনাই করেনি। যে আইন করা হল তা দেশের ব্যবসায়ীদেরই পেট ভরাবে।


সংসদে মোট তিনটি কৃষি সংশোধনী বিল পাস হয়েছে। মঙ্গলবার রাজ্যসভায় প্রায় ফাঁকা মাঠে শেষ বিলটি বের করে নেয় সরকার। এর ফলে ডাল, আলু, পেঁয়াজের মতো রোজকার প্রয়োজনীয় জিনিস অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের তালিকায় থাকল না। এর অর্থ কী? অত্যাবশ্যকীয় পণ্য না হওয়ার দরুন ওইসব পণ্য মজুতের ক্ষেত্রে কোনও সীমা থাকল না। অর্থাত্ ব্যবাসায়ী ও মজুতকারীরা সুবিধে পাবেন। সরকারের বক্তব্য অবশ্য ওইসব পণ্য উত্পাদন, সাপ্লাই ও মজুতের সীমার না থাকার ফলে কৃষকদের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাও ওইসব পণ্যের ব্যবসার ক্ষেত্রে সুবিধে পাবে। পাশাপাশি আসবে বিদেশি বিনিয়োগও।


আরও পড়ুন-TIME ম্যাগাজিনে দুনিয়ার ১০০ প্রভাবশালী ব্যক্তির তালিকায় নমো


এনিয়ে কেন্দ্রীয় কনজিউমার অ্যাফেসার্স দফতরের মন্ত্রী ডি আর দাদারাও বলেন, দেশের আইনে মজুত করার ক্ষেত্রে সীমা নির্দিষ্ট থাকায় কৃষিক্ষেত্রে বিনিয়োগে বাধার সৃষ্টি হচ্ছিল। নতুন এই আইনে চাষি ও ক্রেতা দুপক্ষই লাভবান হবে।


এদিকে, পঞ্জাব, পশ্চিমবঙ্গ-সহ বহু রাজ্য এক বিরোধিতা করে রাস্তায় নেমেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, কেন্দ্র যা করেছে তাদে দেশে দুর্ভিক্ষ হবে। মজুতদারদের লাভ হবে। তবে বিরোধিতা শুধু নয়, এবার আইন রাস্তাতেও হাঁটবে কেরল।