নিজস্ব প্রতিবেদন:প্রত্যাশিতই ছিল। সংসদের অধিবেশন শুরু হতেই নয়া ৩ কৃষি আইন নিয়ে তোলপাড় হল রাজ্যসভা। শেষপর্যন্ত মুলতুবি করে দিতে হল অধিবেশন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এনিয়ে তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখরের সাফ কথা, সরকার কৃষি আইন প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত থামব না। বাংলায় নবান্ন, উত্তরকন্যা অভিযানের নামে পুলিস পেটাচ্ছে বিজেপি। দিল্লিতে তো কৃষকরা তেমন কিছুই করেনি। তার পরেও দিনের পর দিন টালবাহানা করছে কেন্দ্র।  


নতুন ৩ কৃষি আইন নিয়ে আলোচনার দাবিতে আজ রাজ্যসভায় সরব হন বিরোধী সাংসদরা। অধিবেশনের শুরুতেই কংগ্রেস, তৃণমূল, আরজেডি, ডিএমকে সহ একাধিক দল অধিবেশন মুলতুবির দাবি করে। বিরোধী দলগুলির আনা প্রস্তাব ছিল, রাজ্যসভায় অবিলম্বে কৃষক আন্দোলন(Farmers Protest) নিয়ে আলোচনা করতে হবে। কিন্তু, সেই আবেদন খারিজ করে দেন চেয়ারম্যান ভেঙ্কাইয়া নাইডু।


আরও পড়ুন-'কয়লা-গরু পাচারের টাকা ব্যাংককে যায়', অভিষেকের স্ত্রীকে নিশানা শুভেন্দুর


কেন খারিজ?


রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের বক্তব্য ছিল, বাজেট অধিবেশনের শুরুতে ভাষণ দিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। তাঁর সেই ভাষণে উঠে এসেছিল কৃষি আইন ও কৃষক আন্দোলন প্রসঙ্গ। বুধবার ওই ভাষণ নিয়ে সংসদে আলোচনা হবে। তখন বিরোধীরা কৃষি আইন নিয়ে আলোচনার সুযোগ পাবেন। অধিবেশনে আলাদা করে আলোচনার প্রয়োজন নেই। কিন্তু ওই প্রস্তাব মানেনি বিরোধীরা। শুরু হয় প্রবল হইহট্টগোল। শেষপর্যন্ত অধিবেশন মুলতুবি করে দেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্গাইয়া নায়ডু।


এনিয়ে তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়(Sukhendu Sekhar Roy) বলেন, আমাদের রাজ্যে যখন তখন নবান্ন বা উত্তরকন্যা অভিযানের নামে পুলিস পেটাচ্ছে বিজেপি। আর এখানে কিছুই হল না। অথচ সব দোষ কৃষকদের উপরে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আলোচনার নামে সরকার তারিখের পর তারিখ বদল করছে। এবার বাজেটে কৃষকদের জন্য ঋণের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলা হচ্ছে। কিন্তু ঋণ তো পাবে বড় কৃষকরা। নয়া ৩ কালো আইন বাতিল না হওয়া পর্যন্ত আমরা মানব না। আমরা এনিয়ে সংসদে আলোচনা চাইছিলাম। তাই অধিবেশন মুলতুবি করে দেওয়া হচ্ছে।


আরও পড়ুন-'ভোট এলেই বলে চা-বাগান খুলে দেব, আর ভোট মিটলেই পালিয়ে যায়', BJP-কে কটাক্ষ Mamata-র


অন্যদিকে, কংগ্রেস সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন, কৃষকদের বিরুদ্ধে অভব্য আচরণ করছে সরকার। রাস্তায় কাঁটাতার, পেরেক লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো উচিত। বাজেটে কৃষকদের উপরে নতুন করে অত্যাচার করা হচ্ছে। সরকার যদি কৃষক দরদি হয় তাহলে ৩ কৃষি আইন  প্রত্যাহার করুক।


উল্লেখ্য, এদিন রাজ্যসভার অধিবেশন মুলতুবি হওয়ার পর বিরোধী নেতা গুলাম নবি আজাদের ঘরে গিয়ে তাঁর সঙ্গে বৈঠক করে সব বিরোধী দল। সেখানে আলোচনা সেরে তাঁর দেখা করেন চেয়ারম্যানের সঙ্গে। সূত্রের খবর, বুধবার বিরোধীদের কৃষি আইন নিয়ে আলোচনার সুযোগ দেওয়া হতে পারে। তবে এনিয়ে সরকারিভাবে কিছু বলা হয়নি।