ওয়েব ডেস্ক: অবশেষে 'মোদীবাক্য' রক্ষা করলেন যোগী। রাজ্যের কৃষিঋণ মুকুব করে মোদীর প্রাক নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি রাখলেন উত্তরপ্রদেশের নতুন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। রাজ্যের ২ লক্ষ ২৫ হাজার কৃষকের মোট ৩৬ হাজার কোটি টাকার কৃষিঋণ মকুব হল এই সিদ্ধান্তে। তবে রাজ্য সরকারের ঘাড়ে যাতে এই ৩৬ হাজার কোটি টাকার দায়ভার না চাপে, তাই "কৃষি রাহাত বন্ড" বাজারে ছেড়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


প্রসঙ্গত, ভোট প্রচারে মোদী বলেছিলেন, রাজ্যে বিজেপি সরকার গড়তে পারলে প্রথম ক্যাবিনেট বৈঠকেই কৃষিঋণ মুকুবের সিদ্ধান্তে সিলমোহর লাগানো হবে। কিন্তু, বাস্তবে 'অর্থনীতির দিক থেকে বিপজ্জনক' এই সিদ্ধান্তে প্রথমেই সবুজ সংকেত দিতে পারেনি যোগী সরকার। সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে বারংবার দিল্লিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী ও অর্থমন্ত্রী জেটলির সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা করেন যোগী আদিত্যনাথ। আর তারপরই ঘোষিত হল চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। উল্লেখ্য, এর আগে ২০০৮ সালে ইউপিএ সরকার শেষবারের মতো কৃষিঋণ মুকুব করেছিল। সে যাত্রায় এই বাবদ মনমোহন সরকারের খরচ হয়েছিল ৬৫ হাজার কোটি টাকা।



রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির তরফে ঋণ মুকুবের বিষয়টিকে ভাল ভাবে নেওয়া হয়নি। অন্যান্য ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে প্রকাশ্যে কিছু না বলা হলেও এসবিআই চেয়ারপার্সন অরুন্ধুতী ভট্টাচার্য্য প্রকাশ্যেই বলেছিলেন যে, তারা সরকারের থেকে টাকা পেয়ে যাবেন, কিন্তু, সরকার যদি এভাবে কৃষিঋণ মুকুব করতে থাকে, তাহলে ভবিষ্যতে কৃষিঋণ দেওয়ার আগে তারা নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি শোনা পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন। এর পাশাপাশি, মহারাষ্ট্রের মতো অন্যান্যা বিজেপি শাসিত রাজ্যেও এবার কৃষিঋণ মুকুবের দাবি উঠেছে রাজনৈতিক স্তরে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও কেন্দ্রের কাছে কৃষিঋণ মুকুবের দাবি তুলেছেন। (আরও পড়ুন- গো রক্ষকদের তাণ্ডব রাজস্থানে, পিটিয়ে খুনের অভিযোগ)