নিজস্ব প্রতিবেদন: 'নয়া কৃষি ৩ আইনে কৃষকদের কোনও উপকার হবে না। কেন্দ্রীয় সরকারকে আইন প্রত্যাহার করে নিতেই হত। তাহলে কৃষকদের আন্দোলনে নেপথ্যে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ উঠছে কেন?' এবার পাল্টা প্রশ্ন তুললেন কৃষক আন্দোলনের (Farmers Protest) নেতা রাকেশ তিকায়েত (Rakesh Tikait )। তাঁর সাফ কথা, 'কৃষকদের অনুমতি নিয়ে যখন নয়া ৩  আইন লাঘু করা হয়নি, তখন আইন প্রত্যাহার করতে সমস্যা কোথায়? এই আইন চাই না। এর বদলে ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য় সংক্রান্ত আইন আনা হোক।'


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কৃষক আন্দোলনকে (Farmers Protest) কেন্দ্র করে উত্তাল গোটা দেশ। ২ মাসের বেশির সময় রাজধানী দিল্লির সীমান্ত অবস্থান চালিয়ে যাচ্ছেন কয়েক লক্ষ কৃষক। দাবি একটাই, অবিলম্বে সরকারকে নয়া ৩ কৃষি আইন প্রত্যাহার করতে হবে। ২৬ জানুয়ারি, প্রজাতন্ত্র দিবসে বিক্ষোভকারীদের ট্রাক্টর মিছিলকে কেন্দ্র রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল দিল্লির একাংশ। সেদিন লালকেল্লায় জাতীয় পতাকার পাশে অন্য একটি খুঁটিতে নিশান সাহেবের পতাকা ঢাঙিয়ে দেন আন্দোলনকারীরা। এরপর তাঁদের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে দিল্লি পুলিসের (Delhi Police)। লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটানো, বাদ যায়নি কিছুই।


আরও পড়ুন: Google-কে চিঠি লিখল Delhi Police, ২৬ জানুয়ারি হিংসার শিকড় ছড়িয়ে গভীরে!


গতকাল দিল্লি পুলিসের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, 'কৃষক আন্দোলন নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় টুলকিট-সংক্রান্ত নথি পাওয়া গিয়েছে। বিষয়টির উপর নজর রাখা হচ্ছে। স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, প্রজাতন্ত্র দিবসে ট্রাক্টর মিছিলে হিংসায় নেপথ্যে ষড়যন্ত্র রয়েছে। ভারত সরকারের বিরুদ্ধে অসন্তোষ ছড়ানোর অভিযোগে আমরা মামলা দায়ের করেছি।' এদিন একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়ার সাক্ষাৎকারে কৃষক আন্দোলনের (Farmers Protest) নেতা রাকেশ তিকায়েত (Rakesh Tikait ) বলেন, 'আমার শুধুমাত্র প্রতিবাদ করছি। রাজনীতিতে আমাদের কোনও আগ্রহ নেই। কাউকে বলিনি, কাকে ভোট দিতে হবে। কৃষি ঋণের সবচেয়ে বেশি সুদ দিতে হয়। কেন আমাদের এই সমস্যা ভোগ করতে হবে?'


আরও পড়ুন: Modi-কে খুন করব ৫ কোটি ফেললেই, গ্রেফতার যুবক


আন্দোলনের নেপথ্য়ে খলিস্থানী যোগ ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের (International Conspiracy) তত্ত্বের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন রাকেশ। তাঁর পাল্টা প্রশ্ন, 'দেশদ্রোহিতা বা আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র আবার কী? কৃষকরা যদি ফসলের ন্যায্য দাম চায়, তাহলে কি সেটাকে দেশদ্রোহিতা বলা হবে?' কৃষক আন্দোলনের এই নেতার দাবি, 'যদি ন্যূনতম সহায়ক মূল্য সংক্রান্ত কোনও আইন থাকত, তাহলে কৃষকরা ফসলের দাম পেত। উল্টে সেই আইন না থাকার সুযোগ নিয়ে এখন কৃষকদের লুঠ করার রাস্তা আরও প্রশস্ত করে দেওয়া হচ্ছে।'