Farmers-দের দাবির কাছে নতিস্বীকার করতেই হবে, Modi সরকারকে হুঁশিয়ারি রাহুলের
দিল্লির ৩ সীমান্তে ইন্টারনেট বন্ধ করার পাশাপাশি দিল্লি ঢোকার রাস্তায় বসিয়ে দেওয়া হয়েছে কাঁটা তারের বেড়া, ব্যারিকেড, রাস্তা কেটে সেখানে ঢালাই দিয়ে পেরেক পুঁতে দেওয়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদন: দিল্লির দোরগোড়ায় এসে হাজির কৃষকরা। রাজধানীকে ঘিরে রেখেছেন তাঁরা। এঁরাই আমাদের খাবার জোগান দেন। এদের মারধর করা হচ্ছে কেন? কৃষকদের প্রতি পুলিসের আচরণ নিয়ে মোদী সরকারকে বিঁধলেন রাহুল গান্ধী।
প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি আজ এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, কৃষকদের দাবির কাছে সরকারকে ঝুঁকতেই হবে। এখনই তা করা উচিত। কেন দিল্লিকে(Delhi) দুর্গে পরিণত করা হয়েছে? আন্দোলনকারী কৃষকদের(Farmers Protest) মারধর, হুমকি দেওয়া হচ্ছে কেন?কেন্দ্র কৃষকদের সমস্য়া সমাধান করছে না কেন? সরকারের এরকম পদক্ষেপ দেশের জন্য ভালো হবে না।
আরও পড়ুন-প্রধানমন্ত্রীর হলদিয়ার অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন না Dev
গণতন্ত্র দিবসে লালকেল্লা(Red Fort), দিল্লি পুলিসের সদর দফতর এলাকায় তোলপাড় করে কৃষকরা। এমনকি আন্দোলনকারীদের একাংশ লালকেল্লার গম্বুজে উঠে ধর্মীয় পতাকা লাগিয়ে দেয়। তার পর থেকে আন্দোলনকারী কৃষকদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে দিল্লি পুলিস(Delhi Police)। দিল্লির ৩ সীমান্তে ইন্টারনেট বন্ধ করার পাশাপাশি দিল্লি ঢোকার রাস্তায় বসিয়ে দেওয়া হয়েছে কাঁটা তারের বেড়া, ব্যারিকেড, রাস্তা কেটে সেখানে ঢালাই দিয়ে পেরেক পুঁতে দেওয়া হয়েছে। এনিয়ে গতকালই টুইট করে প্রতিবাদ করেন রাহুল গান্ধী(Rahul Gandhi)।
মঙ্গলবার ওইসব ব্যারিকেডের ছবি টুইট করে রাহুল লেখেন, সেতু বানান, দেওয়াল নয়। পাশাপাশি যারা কৃষক আন্দোলন নিয়ে টুইট করছেন তাদের টুইটার অ্যাকাউন্ট ব্লক করার প্রতিবাদ জানান তিনি। প্রসঙ্গত, কৃষকদের আন্দোলন যাতে ছড়িয়ে না পরে তার জন্য দিল্লির তিন সীমান্ত ও সংলগ্ন এলাকার ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আজও তা বন্ধ।
আরও পড়ুন-এখনই খুলছে না কলেজ ইউনিভার্সিটি, আপাতত পাঠন-পাঠন অনলাইনেই
এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে এবারের বাজেট নিয়েও কেন্দ্রের কড়া সমালোচনা করেন রাহুল। দেশের ৫-১০ জন লোকের বিপুল আয়ের ব্যবস্থা করে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি। তিনি বলেন, আশা করেছিলাম দেশের ৯৯ শতাংশ মানুষের পাশে দাঁড়াবে সরকার। কিন্তু এবারের বাজেট তৈরি করা হয়েছে দেশের মাত্রা ১ শতাংশ মানুষের দিকে তাকিয়ে। দেশের অর্থ ব্যবস্থাকে খাড়া করতে গেলে গরিব মানুষের হাতে টাকা দিতে হবে। সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বাড়লে ঘুরে দাঁড়াবে অর্থনীতি।