নিজস্ব প্রতিবেদন: কৃষকদের সংসদভবন অভিযান ঘিরে ক্রমশ পারদ চড়ছে রাজধানীতে। শুক্রবার রামলীলা ময়দান থেকে হাজার হাজার কৃষক মিছিল করে যাবেন সংসদভবন পর্যন্ত। আন্দোলনে সামিল বাম সহ দুশো কৃষক সংগঠন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-দাউদ ইব্রাহিম-হাফিজ সইদ সমস্যা পেয়েছি উত্তরাধিকার সুত্রে, দায় এড়ালেন ইমরান!


বৃহসস্পতিবারই রাজধানীতে এসে হাজির হয়েছেন কয়েক হাজার কৃষক। রাজধানীর পাঁচ দিক থেকে তাঁরা লামলীলা ময়দানে ঢুকেছেন। কয়েক হাজার কৃষক আশ্রয় নিয়েছেন দিল্লির বহু গুরুদ্বারে। কৃষকরা এসেছেন উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, পশ্চিমবঙ্গ, অন্ধ্রপ্রদেশ ও গুজরাট থেকে। আজ তারা সংসদভবনের দিকে মিছিল করে যাবেন। তাঁদের ঠেকাতে মেতায়েন করা হয়েছে ৩,৫০০ পুলিস।



কী দাবি কৃষকদের? কিষাণ মুক্তি মার্চে অংশগ্রহণকারী দেশের প্রায় দুশো কৃষক চাইছেন তাঁদের কৃষিঋণ মকুব করা হোক, ফসলের ন্যায্যমূল্য বাড়ানো হোক। কমপক্ষে উত্পাদন খরচেন দেড়গুণ দাম দেওয়া হোক। তাঁদের মুখে স্লোগান, জয় জওয়ান, জয় কিষাণ, অযোধ্যা নয় ঋণ মকুব করতে হবে। কৃষকরা চাইছেন তাঁদের সমস্যা নিয়ে সংসদে ২১ দিনের বিশেষ অধিবেশন ডাকা হোক। বিক্ষোভকারী কৃষকদের এক ছাতার তলায় এনেছে অল ইন্ডিয়া কিষাণ সংঘর্ষ কোঅর্ডিনেশন কমিটি।


আরও পড়ুন-বালি খাদানে কিছু লোকের আয়, সরকারের পকেটে যায় না: মমতা


বৃহস্পতিবার রাতে হাজার হাজার কৃষক কাটিয়েছেন রামলীলা ময়দানের তাঁবুতে। এদের মধ্যে রয়েছেন বহু মহিলাও। বিক্ষোভকারী কৃষকদের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছেন, শরদ পাওয়ার, ফারুক আবদুল্লা, দীনেশ ত্রিবেদী, শারদ যাদবের মতো ব্যক্তিত্ব।



তামিলনাড়ু থেকে কমপক্ষে দেড় হাজার কৃষক এসেছেন রাজধানীতে। তাদের হাতে দুই আত্মঘাতী কৃষকের খুলি। সংসদে যাওয়ার পথে বাধা দিলে তারা উলঙ্গ হয়ে মিছল করবেন বলে হুমকি দিয়েছেন।


গত ২ অক্টোবর কৃষকরা যখন দিল্লিতে বিক্ষোভ দেখান তখন তাদের জলকামান, কাঁদানে গ্যাস, ব্যরিকেড দিয়ে ঠেকিয়ে দেওয়া হয়। তবে এবার প্রশাসন ততটা কড়া হবে না বেলই মনে করছেন কৃষক নেতারা।



রাজধানীতে আগত কৃষদের আশ্রয় দিয়েছে দিল্লির ৫টি গুরুদ্বার। এদের খাবার দেওয়ার ব্যবস্থা করছেন এলাকার আপ বিধায়ক। এদের সহায্যের জন্য এগিয়ে এসেছেন রাজধানীর বহু বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।