নিজস্ব প্রতিবেদন : ফাইনেন্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স (FATF)-এর গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক আজ অনুষ্ঠিত হবে প্যারিসে। আজ সেই বৈঠকে ভাগ্য নির্ধারন হবে পাকিস্তানের। এই বৈঠকেই নির্ধারণ করা হবে যে পাকিস্তানকে ব্ল্যাক লিস্ট করা হবে, নাকি গ্রে লিস্ট থেকে সরানো হবে! এক সপ্তাহ ধরে চলবে FATF-এর এই বৈঠক। ১৮ অক্টোবর শেষ হওয়ার কথা এই বৈঠক। FATF গত বছর জুন মাসে পাকিস্তানকে গ্রে লিস্ট-এর অন্তর্ভুক্ত করেছিল। তাতে পাকিস্তানের অর্থব্যবস্থায় বড়সড় ধাক্কা লেগেছিল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-  মোদীর সামনে কাশ্মীর নিয়ে রা কাটলেন না জিনপিং,ধর্মীয় উগ্রতা দমনে দিলেন সঙ্গ



আজ FATF-এর বৈঠকে পাকিস্তানের কালো তালিকাভুক্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আর যদি সত্যি সেটা হয় তা হলে ইমরান খানের দেশের অর্থনীতিতে বড়সড় ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিশ্বের যে কোনও দেশের বিনিয়োগকারী সংস্থা এর পর পাকিস্তানে কোনওরকম বিনিয়োগে রাজি নাও হতে পারে। প্রায় ৩০ বছরের পুরনো সংস্থা FATF বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক অবস্থার উপর নজর রাখে। এই সংস্থার রায় সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করবে তাদের সদস্যদের সিদ্ধান্তের উপর। নিজেদের গ্রে লিস্ট থেকে বের করে আনার জন্য মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে পাকিস্তান। কিন্তু তার জন্য আজ বৈঠকে পাকিস্তানের পক্ষে আন্তত ১৫টি ভোট পড়তে হবে। আন্তর্জাতিক মহল মনে করছে, ১৫টি ভোট পাকিস্তানের পক্ষে যাওয়া কার্যত অসম্ভব। সেক্ষেত্রে তাদের আরও একবার গ্রে লিস্ট-এর অন্তর্ভুক্ত থাকতে হতে পারে।


আরও পড়ুন-  বিজেপিকে 'বর্বর ও অসভ্য' বলার অভিযোগে টুইটার থেকে সাসপেন্ড হলেন সেলিম


সন্ত্রাসবাদ দমনের ক্ষেত্রে পাকিস্তান কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে বলে দাবি করেছিলেন ইমরান খান। কিন্তু তিনি নিজের বক্তব্যের সপক্ষে উপযুক্ত প্রমাণ পেশ করতে পারেননি। ফলে এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপের মধ্যে সন্ত্রাসবাদ দমনে পাকিস্তানের অবস্থান নিয়ে তীব্র ক্ষোভ দেখা গিয়েছিল। ইউরোপিয়ান ফাউন্ডেশন ফর সাউথ এশিয়ান স্টাডিজ-এর তরফে দাবি করা হয়েছে, সন্ত্রাস দমনে পাকিস্তান বাস্তবিক কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না। ইমরান খানের দেশ FATF-এর সমস্ত নিয়ম মেনে চলার ব্যাপারে আগ্রহ দেখাচ্ছে না। ইমরান খান যদিও দাবি করেছিলেন, তিনি দেশের সমস্ত অবৈধ সংগঠনের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছেন। এমনকী সবরকম বেআইনি লেনদেনও বন্ধ করা হয়েছে। কিন্তু তাঁর দাবি ধোপে টেকেনি।