Indian Railways: এই স্টেশন দিয়ে যাবেন? তা হলে বাড়ি থেকে স্নান না করে বেরোলেও চলবে...
এমন কোনও প্যাকেজ ভারতীয় রেল আনেনি। আনবার কথাও নয়। লোকাল ট্রেনের নিত্যযাত্রীদের স্নানের জন্য তাদের মাথাব্যথা থাকার কথা নয়, নেইও। যদিও কোনও কোনও নেটাগরিক `ইন্ডিয়ান রেল অ্যাট ইয়োর সার্ভিস` বলে পোস্ট দিচ্ছেন। কেন?
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: এই স্টেশনে এসে পড়লে জয় গোস্বামী হয়তো লিখতেই পারতেন না এমন লাইন-- 'আজ দেখি অবগাহনের কাল পেরিয়ে চলেছি দিনে দিনে …! এপথে নিত্যযাত্রী হয়ে এলে স্নানের সময় পেরিয়ে যাওয়ার কোনও ঘটনাই ঘটতে পারত না তাঁর জীবনে, তাঁর কবিতাতেও! 'উন্মাদ কবির সঙ্গে স্নান প্রকাশ্য ঝর্ণায়' নয়, সে-স্নান অনায়াসে হতে পারত প্রকাশ্য রেলস্টেশনে! রবীন্দ্রনাথের 'স্নান সমাপন' কবিতায় গুরু রামানন্দের স্নানের সময় পেরিয়ে যাচ্ছিল বলে বিস্ময় প্রকাশ করেছিলেন তাঁর শিষ্য। গুরু রামানন্দ যদি এই রেলপথে আসতেন, তবে তাঁর শিষ্যকেও হয়তো সেই ভাবনা ভাবতে হত না! কেন?এবার কি তা হলে 'ট্রেনে বসেই স্নান'-জাতীয় কোনও প্যাকেজ নিয়ে এল ভারতীয় রেল! বাড়ি থেকে বেরনোর সময়ে স্নান করে বেরোতে পারেননি? কুছ পরোয়া নেই! ট্রেন প্ল্যাটফর্মে ঢুকলেই আপনার স্নান হয়ে যাবে। অবগাহন নয়, কিন্তু শাওয়ারে স্নানের আনন্দ অবধারিত পেয়ে যাবেন আপনি।
আরও পড়ুন: পাক অধিকৃত কাশ্মীর, গিলগিট আর বালোচিস্তানকে এক করেই ছাড়ব আমরা'!
না, নিশ্চয়ই এমন কোনও প্যাকেজ ভারতীয় রেল আনেনি। আনবার কথাও নয়। লোকাল ট্রেনের নিত্যযাত্রীদের স্নানের জন্য তাদের মাথাব্যথা থাকার কথা নয়, নেইও। যদিও নেটপাড়ার কোনও কোনও নেটাগরিক 'ইন্ডিয়ান রেল অ্যাট ইয়োর সার্ভিস' বলে পোস্ট দিচ্ছেন। কেন দিচ্ছেন? কেন এরকম একটা কথা উঠল?
উঠল, তার কারণ, না চাইলেও, মানে একরকম অনিচ্ছাসত্ত্বেও ভারতীয় রেল তার ডেইলি প্যাসেঞ্জারদের স্নানের দায়িত্ব নিয়ে ফেলেছে! নিয়েছে একটু ঘুরপথে। একটি স্টেশনের ট্যাপ বিকল হয়ে গিয়েছে। ট্যাপটির মুখ দিয়ে জল অনিয়ন্ত্রিত ভাবে বেরোচ্ছে। সেই জলধারা এতটাই গতিমান যে, তার ধারাটা প্ল্যাটফর্ম পেরিয়ে সরাসরি রেলট্র্যাকে গিয়ে পড়ছে! এর অর্থ দাঁড়াচ্ছে, যখনই কোনও ট্রেন সংশ্লিষ্ট প্ল্যাটফর্মে ঢুকছে, তখন জলের ধারাটি সরাসরি সেই ট্রেনের রেকগুলির জানলা বা দরজা দিয়ে কামরার ভিতর পর্যন্ত ঢুকে পড়ছে। আর যাত্রীরা অজান্তে আচমকা অনিচ্ছায় ভিজে যাচ্ছেন। স্টেশনে নামার জন্য যাত্রীরা তো আগে থেকেই রেলকামরার দরজার সামনে এসে দাঁড়াবেন। কিন্তু ট্রেনের দরজায় দাঁড়ানোই যাচ্ছে না। দাঁড়ালেই ভিজতে হচ্ছে।
নতুন করে ঠান্ডা পড়ছে, এই আবহওয়ায় এ ভাবে ভিজে গেলে কারই-বা আর ভালো লাগে! রীতিমতো বিরক্তই লাগে। সংশ্লিষ্ট রেলরুটটির যাত্রীরাও বিষয়টি নিয়ে যথেষ্টই বিরক্ত। এটা নিয়ে ভিডিয়োও তৈরি হয়েছে। ৩০ সেকেন্ডের এই জাতীয় একটি ভিডিয়ো খুবই জনপ্রিয় হয়েছে যাত্রীদের মধ্যে।