জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সহকর্মীদের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে শেষপর্যন্ত আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন এক তরুণী চিকিত্সক। লখনউয়ের বাসিন্দা ওই তরুণী দন্ত চিকিত্সক কাজ করতেন বেঙ্গালুরুর একটি হাসপাতালে। সেখানে তাঁর টানা বিরক্ত করতেন তাঁর এক সহকর্মী চিকিত্সক। তার পরিণতি হল মর্মান্তিক।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-টেনিসের গ্ল্যামগার্ল কি এবার বড়পর্দায়? বড় আপডেট দিলেন সানিয়া


ওই দন্ত চিকিত্সক কাজ করতেন বেঙ্গালুরুর এম এস রামাইয়া মেমোরিয়াল হাসপাতালে। একই হাসপাতালে কাজ করতেন সুমিত নামে অন্য এক চিকিত্সক। তাঁর বিরুদ্ধেই ওই তরুণী চিকিত্সককে হেনস্থা করার অভিযোগ উঠেছে।  পুলিস সূত্রে খবর, বিয়ের করার জন্য ক্রমাগত ওই তরুণীকে চাপ দিতেন সুমিত। তাঁকে করে মদ-সিগারেট খেতে বাধ্য করতেন। সম্প্রতি ওই তরুণীর কাছে টাকা চেয়েছিলেন সুমিত। সেই দাবি নাকচ করে দেন ওই তরুণী চিকিত্সক।


এদিকে, ওই তরুণীর কাছ থেকে ধাক্কা খেয়ে অন্য রাস্তা নেন সুমিত। পুলিসের দাবি, হাসপাতালে ওই তরুণী চিকিত্সকের চরিত্র নিয়ে বিভিন্ন রকম কথা রটিয়ে দেন। তাতেই আর স্নায়ুর চাপ ধরে রাখতে পারেনি। শেষপর্যন্ত আত্মহননের পথেই বেছে নিলেন তরুণী। ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৫ জানুয়ারি। গোটা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে সঞ্জয়নগর থানার পুলিস।


উল্লেখ্য, এভাবেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে আত্মহত্যার পর বেছে নেন কলকাতার এক মহিলা চিকিত্সক। গত ২১ আগস্ট দক্ষিণ কলকাতার তাঁর ঘর থেকে দেবীকা চট্টোপাধ্যায় নামে ওই চিকিত্সকের দেহ উদ্ধার করে পুলিস। সম্প্রতি স্বামীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে গিয়েছিল ওই চিকিত্সকের। তাতেই সম্ভবত মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তিনি। সুইসাইড নোটে তিনি কাউকেই এর জন্য দোষারোপ করেননি।


গত ৬ ডিসেম্বর আহমেদাবাদের বি জে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এক রেসিডেন্ট চিকিত্সক আত্মঘাতী হন। কপিল পারমার নামে ওই চিকিত্সকের মৃতদেহ উদ্ধার হয় তার ঘর থেকে। তাঁর সহপাঠীদের দাবি, বেশ কিছুদিন ধরে অবসাদে ভুগছিলেন কপিল।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)