নিজস্ব প্রতিবেদন: আমরা কোথায় যাব বা না যাব সেটা কি ওরা ঠিক করে দেবে? মুম্বই পুলিস অনুষ্ঠান বাতিল করে দেওয়ার পর ২৪ ঘণ্টা ডট কম-কে দেওয়া প্রথম প্রতিক্রিয়ায় প্রশ্ন তুললেন জিগনেশ মেবানি। গুজরাটের এই সদ্য নির্বাচিত বিধায়ক এরপরই প্রশ্ন তোলেন, লালকৃষ্ণ আডবাণীর পাকিস্তান সফর নিয়ে। তাঁর সাফ কথা, আমি মানুষের জন্য কাজ করছি এবং সেটা করে যাব।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রসঙ্গত, এদিন জিগনেশ মেবানি ও জেএনইউ-র ছাত্রনেতা উমর খলিদের অনুষ্ঠান বাতিল করেছে মুম্বই পুলিস। মঙ্গলবার থেকে দলিত ও মারাঠি সংগঠনের সংঘর্ষের ফলে চরম উত্তেজনার সাক্ষী থেকেছে বিজেপি শাসিত মহারাষ্ট্র। এরপর দলিতদের ডাকা বনধে কার্যত থেমে গিয়েছে দেবেন্দ্র ফড়ণবীশের রাজ্য। এই আবহে এবার গুজরাটে বিজেপির দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে ওঠা জিগনেশ মেবানির অনুষ্ঠান বাতিল করল মুম্বই পুলিস।



 



সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর অনুযায়ী, মুম্বইয়ের ভিলে পার্লে এলাকায় সভার জন্য যে হল বুক করা হয়েছিল তা বন্ধ করে দিয়েছে পুলিস। ওই সভার উদ্যোক্তা এবং ছাত্র ভারতীর সহ-সভাপতি সাগর ভালেরাও বলেন, "উমর খলিদ এবং জিগনেশ মেবানি ওই সভায় আমন্ত্রিত ছিলেন। এটা আগে থেকেই ঠিক ছিল। কিন্তু এখন তা বাতিল করে দেওয়া হয়েছে...আমরা অল ইন্ডিয়া ন্যাশনাল স্টুডেন্টস সামিটের জন্য ভাইদাস হল আগে থেকেই বুক করেছিলাম। কিন্তু আমাদের এখন সেখানে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। কারণ হিসাবে দু'দিন ধরে উমর খলিদ ও জিগনেশ মেবানিকে নিয়ে যে খবর ছড়িয়েছে তার কথা বলছে পুলিস"। ছাত্র ভারতীর সভাপতি সচিন বাঁশোরে, সহ-সভাপতি সাগর ভালেরাও এবং এমএলসি কপিলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গোটা এলাকায় ১৪৯ ধারা জারি করা হয়েছে। যার ফলে পাঁচ জনের বেশি জমায়েত হলেই পুলিস গ্রেফতার করছে।


আরও পড়ুন- গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তেজনা মহারাষ্ট্রে, মুম্বইতে বন্ধ স্কুল, কলেজ


উল্লেখ্য, মঙ্গলবার মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন এলাকায় যে হিংসার পরিবেশ সৃষ্ট হয় তাতে মদত দেওয়ার অভিযোগে ইতিমধ্যেই জিগনেশ মেবানি ও উমর খলিদের নামে পুনেতে অভিযোগ দায়ের করেছে কয়েকটি দক্ষিণপন্থী সংগঠন।


কী অভিযোগ?


দক্ষিণপন্থী সংগঠনগুলির দাবি, ৩১ ডিসেম্বর ভীমা-কোরেগাঁও যুদ্ধের দুশো বছর পূর্তি উপলক্ষে 'এলগার পরিষদে'র অনুষ্ঠানে অংশ নেন জিগনেশ-উমররা। আর এরপর দিনই দলিত সংগঠনগুলির নেতৃত্বে হিংসা ছড়াতে থাকে বলে অভিযোগ। এই সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত ১২ জন আহত হওয়ার পাশাপাশি বছর আঠাশের মহারাষ্ট্রের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। এই ঘটনায় টুইটারে প্রতিক্রিয়াও দিয়েছেন জিগনেশ। তিনি লিখেছেন, "মহারাষ্ট্র সরকারকে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতেই হবে। আমি মহারাষ্ট্রের মানুষের কাছে শান্তি বজায় রাখার জন্য প্রার্থনা করছি"।


আরও পড়ুন- মুম্বইকে স্তব্ধ করার পর বনধ প্রত্যাহার দলিত সংগঠনগুলির


উল্লেখ্য, ভীমা-কোরেগাঁও যুদ্ধে পেশোয়াদের হারিয়েছিল ব্রিটিশরা। এই যুদ্ধে ব্রিটিশদের বাহিনীতে ছিল দলিতরাও। ফলে এই ঐতিহাসিক যুদ্ধ জয়কে, উঁচু জাতির বিরুদ্ধে নিপীড়িতদের জয় হিসাবেই দেখেন দলিতরা। ফি বছর এই দিনটিকে জাঁকজমোকভাবে উদযাপিত করে মহারাষ্ট্রের দলিতরা।  দেখুন- ২৪ ঘণ্টার প্রতিনিধি কমলিকা সেনগুপ্তকে দেওয়া জিগনেশ মেবানির সেই এক্সক্লুসিভ প্রতিক্রিয়া-