নিজস্ব প্রতিবেদন: আগামী ১ ফেব্রুয়ারি দেশের সাধারণ বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। এমনটাই জানা যাচ্ছে সংবাদ মাধ্যম সূত্রে। আজ সকাল ১১ টা নাগাদ নীতি আয়োগ অফিসে বৈঠকে বসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বৈঠকে যোগ দিয়েছেন দেশের সেরা ৪০ অর্থনীতিবিদ, বিশেষজ্ঞ এবং নীতি আয়োগের অফিসাররা। সম্প্রতি দেশের অর্থনীতি নিয়ে আলোচনা এবং আগামিদিনে তার রূপরেখা তৈরি করতে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী-অর্থমন্ত্রীরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গত বাজেটে নির্মলা সীতারামন ঘোষণা করেছিলেন ২০২৪ সালের মধ্যে দেশের অর্থনীতি ৫ লক্ষ কোটি ডলারে পৌঁছনোর লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। সেই লক্ষ্যে পৌঁছতে গেলে দেশের জিডিপি যে হারে বৃদ্ধি হওয়া প্রয়োজন, এখনও পর্যন্ত লক্ষ্য করা যায়নি। উল্টে জিডিপির ক্রমশ অধোগতির জেরে একাধিক বার চলতি অর্থবর্ষের জিডিপির লক্ষ্যমাত্রার হার ছাঁটাই করা হয়। এখন ৫ শতাংশ জিডিপির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। তা-ও আদৌ পৌঁছনো যাবে কি-না ধন্দে রয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এখন দেশের অর্থনীতি শুধুই পরিকাঠামো উত্পাদন এবং বিনিয়োগের উপর নির্ভর করছে না, বিশ্ব বাজারে চরম মন্দার প্রভাব প্রত্যক্ষভাবে পড়ছে ভারতে। সম্প্রতি ইরান-আমেরিকার টানাপোড়েনে তেল, সোনার দর চড়চড়িয়ে বেড়েছে। বেশি ডলার খরচ করে এই দুই পণ্যকে আমদানি করতে হচ্ছে ভারতকে।



আরও পড়ুন- সহকর্মীদের ‘ছপক’ ছবির টিকিট কিনে দীপিকাকে সমর্থন জানালেন ডেরেক ও ব্রায়েন


২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে জিডিপি ছিল ৬.৮। চলতি বছরে সেপ্টেম্বরে জিডিপির হার দাঁড়ায় ৪.৫ শতাংশে। যা ছয় বছরের সর্বনিম্ন। বেকারত্ব বাড়ছে পাল্লা দিয়ে। গ্রামের মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমেছে নজিরবিহীনভাবে। ব্যাঙ্কগুলি ভুগছে নগদ সঙ্কটে। গাড়ি উত্পাদন থমকে। রাজকোষের ঘাটতি মোট জিডিপির ৩.৮ শতাংশ। কর্পোরেট কর কমিয়ে আয় কমেছে সরকারের। এই আবহে আরও একবার বাজেট পেশ করতে চলেছেন নির্মলা সীতারামন। তাই এখন দেখার এবারে বাজেটে নির্মলা কতটা বেড়ে খেলেন নাকি ক্রিজ আঁকড়ে সাবধানী হবেন!