মহারাষ্ট্রে দেশের বৃহত্তম সেনা অস্ত্রাগারে আগুন, নিহত দুই অফিসার সহ ১৭ জন সেনাকর্মী, আহত ১৯
আগুনে পুড়ে গেল মহারাষ্ট্রের পুলগাঁওয়ে দেশের বৃহত্তম সেনা অস্ত্রাগার। নিহত দুই অফিসার সহ ১৭ জন সেনাকর্মী। আহতের সংখ্যা ১৯। প্রাথমিকভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও আরও বিস্ফোরণের আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছে না সেনা। এটি নিছকই দুর্ঘটনা নাকি এর পিছনে অন্তর্ঘাত রয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
ওয়েব ডেস্ক: আগুনে পুড়ে গেল মহারাষ্ট্রের পুলগাঁওয়ে দেশের বৃহত্তম সেনা অস্ত্রাগার। নিহত দুই অফিসার সহ ১৭ জন সেনাকর্মী। আহতের সংখ্যা ১৯। প্রাথমিকভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও আরও বিস্ফোরণের আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছে না সেনা। এটি নিছকই দুর্ঘটনা নাকি এর পিছনে অন্তর্ঘাত রয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
সোমবার রাত দেড়টা। প্রবল বিস্ফোরণের শব্দে মহারাষ্ট্রের পুলগাঁওয়ে সেনা অস্ত্রাগার লাগোয়া গ্রামের বাসিন্দাদের ঘুম ভেঙে যায়। ঘরের বাইরে বেরিয়ে আসতেই চোখে পড়ে আগুনের লেলিহান শিখা। একাধিক ছাউনিতে ছড়িয়ে পড়ে আগুন। গভীর রাতেই শুরু হয় আগুন নেভানোর কাজ। গোলাবারুদ বাঁচাতে গিয়ে নিহত হন সেনাকর্মীরা। ওয়ার্ধার সেনা হাসপাতালে চলছে আহতদের চিকিত্সা।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নাগপুরের কাছে পুলগাঁওয়ে দশ হাজার একর জমিতে গড়ে ওঠে ভারতের বৃহত্তম তথা এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম সেনা অস্ত্রাগার। শব্দের চেয়ে বেশি গতিসম্পন্ন ব্রহ্মস মিসাইল, ট্যাঙ্ক-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র, ak-47 রাইফেল, বম্ব, গ্রেনেড, কামানের গোলা ও বিভিন্ন ধরনের বিস্ফোরক এখানে মজুত রাখা হয়।
সেনা অস্ত্রাগারে অগ্নিকাণ্ডের হতাহতদের সমবেদনা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর নির্দেশে ঘটনাস্থলে যান প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মনোহর পারিক্কর। সেনা প্রধান দলবীর সিং সুহাগও পুলগাঁও পৌছে যান।
সেনা অস্ত্রাগারে বিস্ফোরণের ঘটনায় আশপাশের গ্রামগুলি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। বহু কাঁচা বাড়িতে ফাটল ধরেছে। প্রায় একহাজার গ্রামবাসীকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে গেছে প্রশাসন।
অগ্নিকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে সেনা।