বাপ রে! টয়লেটে লুকিয়ে ছিল পাঁচ ফুটের কুমির, গ্রামে আতঙ্ক
ওয়াইল্ডলাইফ এসওএস র্যাপিড রেসপন্স ইউনিট-এর কর্মীরা কুমির উদ্ধারে নেমে মহাবিপদে পড়েন।
নিজস্ব প্রতিবেদন- টয়লেটে ঘাপটি মেরে বসে আস্ত কুমির। সকাল সকাল বাড়ির কর্তা টয়লেটের দরজা খুলেই ভয়ে আঁতকে ওঠেন। বিশাল আকারের কুমির তাঁর বাড়ির টয়লেটে সটান শুয়ে রয়েছে। তিনি তো এমন ভয়ানত দৃশ্য দেখেই দৌড় লাগান। এর পর চিত্কার চেঁচামেচিতে বাড়ির সামনে লোকজন জড়ো হয়ে যায়। কী করে কুমিরটিকে টয়লেট থেকে বের করা যায় তা ভেবে পাচ্ছিলেন না কেউ। এমন সময় বন দফতরে খবর দেন এক গ্রামবাসী। খবর ছড়িয়ে পড়ার গ্রামে আতঙ্ক ছড়ায়। গ্রামবাসীরা ওই বাড়ির চারপাশে ব্যারিকেড করে দেন। যাতে কুমির বেরিয়ে বাইরে যেতে না পারে!
উত্তরপ্রদেশের ফিরোজাবাদ জেলার মহব্বতপুর গ্রামের ঘটনা। কিছুক্ষণ পরই ঘটনাস্থলে বনদফতরের কর্মীদের নিয়ে আসে পুলিস। ওয়াইল্ডলাইফ এসওএস র্যাপিড রেসপন্স ইউনিট-এর কর্মীরা কুমির উদ্ধারে নেমে মহাবিপদে পড়েন। কারণ তখন সেই বাড়ির সামনে কয়েকশো মানুষের ভিড়। এত মানুষকে সরাতে গিয়ে হিমশিম খান কর্মীরা। অনেক অনুরোধ-উপরোধের পর ভিড় হালকা হলে কুমিরটিকে উদ্ধারে নামেন বন দফতরের কর্মীরা। কিন্তু টয়লেটে জায়গা কম থাকায় বিরাটাকার কুমিরটিকে দড়ি দিয়ে ধরতে পারছিলেন না তাঁরা। এর পরই খাঁচায় টোপ দেওয়া হয়। অনেকক্ষণ চেষ্টার পর কুমিরটি খাঁচায় ধরা দেয়। কর্মীরা জানান, এত লোক দেখে কুমিরটিও গুঁটিসুটি পাকিয়ে যায়। ফলে সেটিকে উদ্ধার করতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয় বন দফতরের কর্মীদের।
আরও পড়ুন- প্যান্টের ভিতর ঢুকে পড়ল বিষধর গোখরো, প্রাণে বাঁচতে যুবককে দিতে হল কঠিন পরীক্ষা
ওই গ্রামের কাছে একটি বিশাল পুকুর রয়েছে। সেখান থেকেই কুমিরটি এসেছে বলে বন দফতরের কর্মীরা আন্দাজ করছেন। খাবারের খোঁজেই সেটি ওই বাড়ির টয়লেটে ঢুকে পড়ে। বন দফতরের কর্মীর জানিয়েছেন, এই প্রজাতির কুমীর পরিষ্কার জলে থাকতে ভালবাসে। ফলে পুকুর, জলাশয়ে এই পুকুর থাকে অনেক সময়। জুন মাসে উত্তরপ্রদেশের শিকোহাবাদের কাছে একটি গ্রাম থেকে আরও একটি কুমির উদ্ধার করেছিলেলন বন দফতরের কর্মীরা। এদিন কুমিরটিকে ভাটেশ্বরের যমুনা নদীর নারাঙ্গি ঘাটে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।