নিজস্ব প্রতিবেদন: একই পরিবারে ৫ জনের মৃত্যু হল উত্তরপ্রদেশের ইলাহাবাদে। সোমবার বন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার হয় ওই পাঁচ জনের দেহ। জানা যায়, মৃতদের মধ্যে রয়েছেন এক দম্পতি এবং তাঁদের তিন কন্যা সন্তান। কিন্তু কীভাবে মৃত্যু হল তাঁদের? ইতিমধ্যে তা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা। পুলিসের প্রাথমিক তদন্তে খুনের পর আত্মহত্যা বলে অনুমান করা হচ্ছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- কেরলকে ৭০০ কোটি টাকার ত্রাণ দিল আরব আমিরশাহি


সোমবার পুলিস দরজা ভেঙে যখন ঘরে ঢোকে, দেখা যায় সিলিং ফ্যানে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলছেন গৃহকর্তা। এর পর আরও তল্লাসি চালালে ফ্রিজ থেকে মেলে গৃহকর্ত্রীর দেহ। রহস্য ঘনীভূত হতে শুরু করে। আরও কিছু ক্ষণ তল্লাসি চালাতে স্যুইটকেস এবং আলমারি থেকে পাওয়া যায় দু’দুটি দেহ। যারা ওই দম্পতিরই সন্তান। তাঁদের তৃতীয় সন্তানকে পাশের ঘর থেকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিস। প্রাথমিক তদন্তে পুলিস জানাচ্ছে, স্ত্রী এবং তিন কন্যা সন্তানকে খুন করেন গৃহকর্তাই। তার পর নিজে আত্মঘাতী হন। যদিও এই ঘটনার পিছনে কোনও তৃতীয় জনের হাত রয়েছে কি-না খতিয়ে দেখছে পুলিস।


প্রশ্ন উঠছে, হঠাত্ নিজের স্ত্রী এবং সন্তানদের খুন করতে গেলেন কেন ওই ব্যক্তি?


পুলিসের অনুমান, মনোজ কুশওয়াহা নামে ওই ব্যক্তি সন্দেহবশবর্তী হয়েই খুন করেছেন। জানা যাচ্ছে, পরিবারের কোনও বিবাদ বা স্ত্রীর পরকীয়া সম্পর্ক থাকার উপর বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে পুলিস।  


আরও পড়ুন- সিধুর মাথার দাম ৫ লক্ষ, ঘোষণা করল বজরং দল   


উল্লেখ্য, গত মাসে মাদুরাইয়ের এক মহিলা তাঁর দুই সন্তানকে শ্বাসরোধ করে খুন করে নিজে আত্মঘাতী হন। ওই মহিলা সুইসাইড নোটে লিখে গিয়েছিলেন, সন্তানদের সামনে মিথ্যে অপবাদ এবং নিগ্রহ করে তাঁর স্বামী। অপমান সহ্য করতে না-পেরে সন্তানদের খুন করতে বাধ্য হন ওই মহিলা। ইলাহাবাদে হত্যাকাণ্ডের মতো গত জুলাইয়ে ঝাড়খণ্ডের হাজিরাবাগে একই পরিবারের ৬ জনের মৃত দেহ উদ্ধার করে পুলিস। মোটা অঙ্কের ঋণ নিয়ে শোধ না দিতে পারার তথ্য উঠে এসেছে সুইসাইড নোটে। জুলাইয়েই দিল্লির বুরারি হত্যাকাণ্ডের ভয়াবহতা নাড়িয়ে দেয় গোটা দেশকে। একই পরিবারের ১১ জনের মৃত্যু হয় বুরারিতে। তদন্ত করতে নেমে খুনের সূত্র পেতে রীতিমতো কালঘাম ছোটে দিল্লি পুলিসের। পরে জানা যায়, এই গণ আত্মহত্যার পিছনে  পিছনে কালাজাদুর ভূমিকা ছিল।