বিমান চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার, কিছুক্ষণেই স্বাভাবিক হবে পরিষেবা
কিছুক্ষণের মধ্যেই উড়ান চলাচল স্বাভাবিক হবে বলে সূত্রের খবর। বিমানবন্দর বন্ধের নির্দেশ প্রত্যাহার। নিয়ম মেনেই বিমান চলবে। ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৬০ টি উড়ান বাতিলের কথা বলা হয়েছিল তবে এখনও পর্যন্ত জানা যাচ্ছে ঘোষিত টাইমটেবিল মেনেই চলবে বিমান।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বুধবার সকালে আকাশপথে চূড়ান্ত সতর্কতা জারি হওয়ার কারণে দেশের সমস্ত বিমানবন্দরে বিমান চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। তবে বিমানবন্দর বন্ধের নির্দেশ প্রত্যাহার করল ডিজিসি-এ। কিছুক্ষণের মধ্যেই উড়ান চলাচল স্বাভাবিক হবে বলে সূত্রের খবর। নিয়ম মেনেই বিমান চলবে। ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৬০ টি উড়ান বাতিলের কথা বলা হয়েছিল। তবে এখনও পর্যন্ত জানা যাচ্ছে, ঘোষিত টাইমটেবিল মেনেই চলবে বিমান। ঘটনার জেরে খানিক্ষণের জন্য দেশজুড়ে ব্যহত হয় বিমান চলাচল। এয়ার ভিল্তারা, গো এয়ার, ইন্ডিগো-সহ বিভিন্ন বিমান সংস্থার তরফে নিজেদের টুইটার হ্যান্ডেলে বিমান চলাচল বন্ধের কথা জানানো হয়। অমৃতসর বিমানবন্দরেও বিমান পরিষেবা স্থগিদ রাখা হয়েছিল কিছু সময়ের জন্য।
উল্লেখ্য, এয়ারপোর্ট অথারিটি অফ ইন্ডিয়ার তরফে কড়া নিরাপত্তার মোড়কে ঘিরে রাখা হয়েছে কলকাতা বিমানবন্দর। বিমানবন্দরের বাইরে এবং ভেতরে সর্বত্র বসানো হয়েছে কুইক রেসপন্স টিম। স্নিপার ডগ দিয়ে চলছে তল্লাসি অভিযান। বাড়ানো হয়েছে জওানের সংখ্যা। পাশাপাশি রানওয়েতেও রয়েছে কুইক রেসপন্স টিম।
আরও পড়ুন: ভারতীয় যুদ্ধবিমানকে গুলি করে নামানো হয়েছে', পাক দাবি খারিজ বায়ুসেনার
পাক সেনা কাশ্মীরের আকাশপথের সীমানা লঙ্ঘন করার পরই পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হতে থাকে। নিরাপত্তার কারণে সকালেই বন্ধ করা হয়েছিল উত্তর ভারতের অধিকাংশ বিমানবন্দর। তালিকায় ছিল শ্রীনগর, জম্মু, লে, অমৃতসর, পাঠানকোট, গগ্গল, দেহরাদুন ও চণ্ডীগড় বিমানবন্দর। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক উড়ানও এই এলাকাগুলিতে না নামিয়ে, ঘুরিয়ে দেশের অন্য বিমানবন্দরগুলিতে অবতরণ করানো হচ্ছিল। সবমিলিয়ে কার্যত বিপাকে পড়তে হয় যাত্রীদের। বুধবার বায়ুসেনার একটি সূত্র থেকে জানা যায়, তাদের ব্যবহারের জন্যই পাঁচটি বিমানবন্দরে অসামরিক বিমান পরিবহণ বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি তিন মাসের জন্য বিমানবন্দরগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলেও খবর আসে।