নিজস্ব প্রতিবেদন: পাকিস্তানের করতারপুর করিডরের ভিত্তিস্থাপন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারছেন না বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। তাঁর পরিবর্তে ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করবেন মোদী সরকারের দুই মন্ত্রী হরসিমরত কাউর বাদল এবং হরদীপ সিং পুরী। ইসলামাবাদের আমন্ত্রণের জবাবে শনিবার এমনটাই জানালো বিদেশমন্ত্রক।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আগামী ২৮ নভেম্বর গুরুদ্বার করতারপুর সাহিবের দর্শনের জন্য করিডরের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন হবে। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। পাকিস্তানের তরফে বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ, পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরেন্দর সিং এবং বিধায়ক তথা প্রাক্তন ক্রিকেটার নভজ্যোত্ সিং সিধুকে আমন্ত্রণ জানায় ইসলামাবাদ। পাক  আমন্ত্রণকে স্বাগত জানায় ভারতও। তবে, ওই সময় ঠাসা কর্মসূচী থাকায় বিদেশমন্ত্রী উপস্থিত থাকতে পারবেন না বলে জানানো হয়েছে মন্ত্রকের তরফে।


আরও পড়ুন- ‘সরকার থাকুক বা পড়ুক মন্দির হবেই’, অযোধ্যায় বসে বিজেপিকে নিশানা উদ্ধবের


পঞ্জাবের গুরুদাসপুর জেলার ডেরা বাবা নানক থেকে করতারপুর সীমান্তে সাহিব গুরুদ্বার পর্যন্ত প্রায় ৪ কিলোমিটারের একটি করিডর তৈরি করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার এই করিডর তৈরির প্রস্তাবে সায় মেলে মন্ত্রিসভায়। ওই করিডরের নির্মাণ এবং রক্ষণাবেক্ষণ করবে ভারত। করতারপুর করিডরকে বার্লিন দেওয়ালের সঙ্গে তুলনা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মোদী বলেন, শান্তি স্থাপনে দুই জার্মানি যখন বার্লিন দেওয়াল ভেঙে এক হতে পারে, এই করিডরও নয়া বার্তা দেবে ভারত এবং পাকিস্তানকে। করতারপুরের এই করিডর শুধুমাত্র প্রতীকী, এটি দুই দেশের সেতুবন্ধনের কাজ করবে।


আরও পড়ুন- তুমুল জয় শ্রীরাম ধ্বনি, অযোধ্যার উত্তাপ বাড়িয়ে রাম লালা ‘দর্শন’ শিবসেনা প্রধানের


উল্লেখ্য, পাকিস্তানের তরফেও সদর্থক বার্তা মিলেছে। পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের শপথগ্রহণের সময় সে দেশের সেনাপ্রধান কামার জাভেদ বাজোয়া সিধুকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, করতারপুর করিডর খুলে দেওয়া নিয়ে ভাবনা চিন্তা করা হবে। পাক তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরি দাবি করেন, করতারপুর সীমান্ত খুলে দেওয়ার প্রস্তাব অনেক আগেই জানিয়েছিল পাকিস্তান। এখন ভারত সম্মতি জানাচ্ছে। আগামী বছর গুরু নানকের ৫৫০ তম জন্মবার্ষিকীতে উদ্বোধন হবে করতারপুর করিডর।