নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতে একযোগে বিধানসভা ও লোকসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার পরিবেশই তৈরি হয়নি। তাই ২০১৯ দূরে থাক, ২০২৪ সালেও এই নীতি কার্যকর করা যাবে না। দিল্লিতে দলের জাতীয় সমিতির বৈঠকের পর এমনই মন্তব্য করলেন এনডিএ শরিক জেডিইড প্রধান নীতীশ কুমার। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, "আমাদের দলও এক দেশ এক নির্বাচন নীতিতে বিশ্বাস করে। কিন্তু সেই নীতি এখনই কার্যকর করার জন্য প্রস্তুত নয় ভারত"।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই এক দেশ এক নির্বাচন নীতি নিয়ে কথা বলে আসছে মোদী সরকার। ২০১৯ সালে তা কার্যকর করার বিষয়েও প্রাথমিক স্তরে আলোচনা শুরু হয়েছে কেন্দ্র ও নির্বাচন কমিশনের মধ্যে। এই পরিস্থিতিতে এবার কেন্দ্রের শরিক হয়েও খানিকটা ভিন্ন সুর শোনা গেল বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তথা জেডিইউ সুপ্রিমোর গলায়।


আরও পড়ুন- মোদীর জমানায় আর্থিক নীতির সমালোচনা করে মহাজোটের সওয়াল অমর্ত্যর


২০১৭ সালে দুর্নীতি ইস্যুতে বিহারে লালু প্রসাদ যাদবের আরজেডি-র সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে মহাজোট থেকে বেরিয়ে যায় জেডিইউ। মুখ্যমন্ত্রীত্ব থেকে পদত্যাগ করার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ফের বিজেপির সঙ্গে জোট বেঁধে সরকার গড়েন নীতীশ। দেশের রাজনীতিতে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো হইচই বেঁধে যায়। নীতীশ কুমারকে খুশি রাখতে এবং ২০১৯-এর দিকে চেয়ে বিহারকে নিজেদের মুঠোয় রাখতে সে রাজ্যকে বিশেষ অর্থনৈতিক প্যাকেজ দেওয়ার কথাও জানিয়ে দেয় মোদী সরকার। কিন্তু, কথা অনুসারে প্রতিশ্রুতি পূরণ না হওয়ায় এবার বিজেপির সঙ্গে ক্রমাগত দূরত্ব বাড়তে শুরু হয়েছে জেডিইউ-এর। উপ-নির্বাচনে হার-সহ একাধিক ইস্যুতে মোদী সরকারকে কাঠগোড়ায় দাঁড় করাতে শুরু করেন নীতীশ। এরপর এক দেশ এক নির্বাচনে নৈতিক সমর্থন জানিয়েও তা 'সম্ভব নয়' বলে নীতীশ বিজেপিকে বেশ খানিকটা অস্বস্তিতে ফেললেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।


এদিন সংযুক্ত জনতা দলের প্রধান বলেন, ''আমাদের দলও এক দেশ এক নির্বাচন নীতিতে বিশ্বসী। এর ফলে যেমন কালো টাকার বাড়বারন্ত রোখা যায়, তেমনই দুর্নীতিও আটকানো সম্ভব।'' তবে এখনই ভারতবর্ষ এই নীতি প্রনোয়ণে তৈরি নয়। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনগুলির মধ্যে এর জন্য যে ধরনের সমন্বয় দরকার, তা এখনও তৈরি হয়নি। সেই সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলিও এই নীতিকে সমর্থন জানাবে না বলে জানিয়েছেন নীতীশ।