নিজস্ব প্রতিবেদন- হাথরস কাণ্ডে নতুন মোড়। বিজেপির প্রাক্তন বিধায়ক রাজবীর সিং পাহেলওয়ান দাবি করেছেন, মা আর ভাই মিলে হাথরাসের নির্যাতিতাকে খুন করেছে। ধৃত চার যুবক নির্দোষ। তাঁদের ষড়যন্ত্র করে এই মামলায় ফাঁসানো হয়েছে বলেও দাবি করেছেন তিনি। ১৪ সেপ্টেম্বর কেউ বা কারা হাথরাসের নির্যাতিতাকে গলায় ফাঁস লাগিয়ে খুনের চেষ্টা করে। ১৪ দিন হাসপাতালে লড়াই চালানোর পর জীবন যুদ্ধে হেরে যান নির্যাতিতা। ময়না তদন্তের রিপোর্ট বলছে, ঘাড়, শিরদাঁড়া, কোমর সহ দেহের একাধিক অংশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে ময়না তদন্তের রিপোর্টে কোথাও ধর্ষণের উল্লেখ নেই। এমনকী উত্তরপ্রদেশের পুলিসও ঘোষণা করে দিয়েছে, নির্যাতিতার ধর্ষণ হয়নি। তবে বিজেপি বিধায়কের এমন চাঞ্চল্যকর দাবি এই ঘটনার মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে নতুন করে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নির্যাতিতার পরিবারের লোকজন দাবি করেছেন, পুলিস তাঁদের নজরবন্দি করে রেখেছে। এমনকী বাথরুমে যেতে হলেও পুলিশের অনুমতি নিতে হচ্ছে। গোটা গ্রাম ঘিরে রেখেছে পুলিস। সংবাদমাধ্যমকে গ্রামে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। ইতিমধ্যে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সেই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, হাথরসের জেলাশাসক নির্যাতিতার পরিবারের লোকজনকে বয়ান বদলের জন্য চাপ দিচ্ছেন। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ধৃত যুবক রামুর বাবা রাকেশ জানিয়েছেন, তাঁর ছেলেকে ফাঁসানো হয়েছে। বিজেপি সাংসদ রাজবীর সিং দিলের ও তাঁর মেয়ে মঞ্জু তাঁর ছেলেকে চক্রান্ত করে এই মামলায় ফাঁসিয়েছে। রাজবীর সিংয়ের নির্যাতিতার মতোই বাল্মিকী সম্প্রদায়ের বলে এমন কাজ করেছে বলে দাবি করেছেন তিনি।


আরও পড়ুন-  নারীর জন্য নয়, নারীর নেতৃত্বে উন্নয়ন, হাথরসে 'নীরব' স্মৃতির মুখে নমোস্তুতি


বিজেপির প্রাক্তন বিধায়ক রাজবীর সিং পাহেলওয়ান অবশ্য ঠাকুর সম্প্রদায়ের। তিনি দাবি করেছেন, মা ও ভাই মিলেই কোনও পারিবারিক বিবাদের জেরে নির্যাতিতাকে খুন করেছে। তারপর গ্রামের ওই চার যুবককে এই মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তিনি দাবি করেছেন, বিজেপি সাংসদ রাজবীর সিং দিলের ও তাঁর মেয়ে চক্রান্ত করে গ্রামের ওই চার যুবককে এই মামলায় ফাঁসিয়ে দিয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, খুব তাড়াতাড়ি সত্যিটা সামনে আসবে। তখন হাথরসের জনতা সাংসদ রাজবীর সিং দিলেরকে উচিত শিক্ষা দেবে।